সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নদিয়ার গাংনাপুরে তৃণমূল উপপ্রধানের বাড়িতে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব। চলল বোমা ও গুলি। এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য। আক্রান্ত উপপ্রধানের দাবি, স্থানীয় দেবগ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান হওয়ার পর থেকে তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। বিষয়টি থানায় জানিয়েও ছিলেন তিনি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে গাংনাপুর থানার পুলিশ।
[চাকদহে জলসার মঞ্চে তৃণমূল যুবনেতাকে গুলি করে খুন করল দুষ্কৃতীরা]
২০১৬ সালে জুলাই মাসে খুন হন নদিয়ার গাংনাপুরের দেবগ্রাম পঞ্চায়েতের তৎকালীন উপপ্রধান বরুণ শিকদার। আগস্টে নয়া উপপ্রধান হন সুবীর ধর। গাংনাপুরের গোপীনগর পশ্চিম পাড়ার বাড়িতে স্ত্রী, মেয়ে ও বৃদ্ধা মা’কে নিয়ে থাকেন তিনি। সুবীরবাবুর অভিযোগ, রবিবার রাত ৯টা নাগাদ তাঁর বাড়িতে চড়াও হয় জনা দশেক সশস্ত্র দুষ্কতী। প্রত্যেকের মুখ কালো কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিল। বাড়ি লক্ষ্য করে ১৪ থেকে ১৫ রাউন্ড গুলি চালায় তারা। চলে বোমাবাজিও। প্রাণ বাঁচাতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এক ঘরে লুকিয়ে পড়েছিলেন সুবীর। বেশ কিছুক্ষণ তাণ্ডব চালানোর পর, চলে যায় দুষ্কৃতীরা। রাতে গাংনাপুরে থানায় খবর দেন আক্রান্ত উপপ্রধান। ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। এদিকে রাতদুপুরে খোদ উপপ্রধানের বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
[পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে দিল্লিতে রহস্যমৃত্যু মালদহের শ্রমিকের]
কিন্তু, হঠাৎ উপপ্রধানের বাড়িতে দুষ্কৃতীরা হামলা কেন চালাল? আক্রান্ত উপপ্রধান সুবীর ধরের দাবি, দেবগ্রাম পঞ্চায়েত উপপ্রধান হওয়া ইস্তকই তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। বিষয়টি গাংনাপুর থানায়ও জানিয়েছিলেন। কিন্তু, পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ। রবিবারের রাতের ঘটনার পর রীতিমতো আতঙ্কে ভুগছেন তিনি। চলতি মাসে নদিয়ারই চাকদহে খুন হয়েছিলেন তৃণমূলের যুবনেতা শান্তনু শীল। রাতে স্থানীয় একটি ক্লাবের জলসা চলাকালীন তাঁকে গুলি করে খুন করেছিল দুষ্কৃতীরা।
ছবি: সুজিত মণ্ডল
[জঙ্গলে কারা দিচ্ছে আগুন? হাতির চিৎকারে অস্থির এলাকাবাসী ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.