নিজস্ব সংবাদদাতা, বনগাঁ: বোমাবাজিকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল বনগাঁর ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়িতে। মঙ্গলবার রাতে কামনা সাগরের পাড়ে বোমাবাজির শব্দ পান স্থানীয়রা। গাইঘাটা থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। আতঙ্কের পরিবেশ তৈরির জন্য এমন কাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলেই দাবি বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের ব্যক্তিগত সচিবের। যদিও মমতাবালা ঠাকুর এই ঘটনার নেপথ্যে বিজেপি সাংসদের অনুগামীদেরই দায়ী করেছেন।
মঙ্গলবার রাত একটা নাগাদ ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়ির কামনা সাগরের পাড়ে বিকট শব্দ শুনতে পান স্থানীয়রা। গভীর রাতে ঘুম ভেঙে যায় তাঁদের। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন প্রায় প্রত্যেকে। বিশ্ব হালদার নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, “দু’টি জায়গায় তিনটি বোমার শব্দ পেয়েছি। ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা।” খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান ঠাকুরবাড়িতে থাকা পুলিশকর্মীরা। গোটা এলাকা ঘিরে রাখেন তাঁরা। বুধবার সকালে মতুয়া মহাসংঘাধিপতি মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর গাইঘাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন৷
ঠাকুরবাড়িতে বোমাবাজির ঘটনায় লেগেছে রাজনীতির রং। তৃণমূল এবং বিজেপি দু’পক্ষের মধ্যে চলছে অভিযোগ-পালটা অভিযোগের পালা। বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর বর্তমানে বনগাঁয় নেই। তাঁর ব্যক্তিগত সচিব শেখর বিশ্বাস বলেন, “শান্তনু ঠাকুর নেই তাই এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরির চেষ্টা চলছে।” তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ তথা ঠাকুরবাড়ির বউমা মমতা ঠাকুর বলেন, “আমি অসমে এনআরসির প্রতিবাদে সুর চড়িয়েছিলাম। তাই আমাকে এখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার জন্যেই শান্তুনু ঠাকুরের অনুগামীরা বোমাবাজি ঘটিয়েছে।”
বড়মা বীণাপাণি দেবী মৃত্যুর আগে শয্যাশায়ী হয়ে যান। বেশ কয়েকদিন ধরে এসএসকেএম হাসপাতালে ভরতি ছিলেন তিনি। দীর্ঘ রোগভোগের পর মারা যান বড়মা। তারপর থেকে যতদিন গড়াচ্ছে ততই সামনে এসেছে ঠাকুরবাড়ির পারিবারিক দ্বন্দ্ব। বোমাবাজির ঘটনায় আবারও প্রকট প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ জেঠিমা মমতাবালা এবং বিজেপি সাংসদ ভাসুরপো শান্তনুর দ্বন্দ্ব।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.