Advertisement
Advertisement
তৃণমূল

তৃণমূল কার্যালয়ের বাইরে বোমাবাজি, অব্যাহত ভোট পরবর্তী হিংসা

পুলিশের বিরুদ্ধে উঠেছে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ৷

Bombing in front of the TMC party office in Duttapukur.
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:May 8, 2019 9:06 pm
  • Updated:May 8, 2019 9:06 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোট পরবর্তী সংঘর্ষ অব্যাহত রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। তৃণমূলের কার্যালয়ের সামনে বোমাবাজি ও গুলি চালানোর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের কাশেমপুর এলাকায়। উত্তরপাড়ায় আক্রান্ত সিপিএমের পোলিং এজেন্ট। জাঙ্গিপাড়ায় আক্রান্ত একাধিক বিজেপি কর্মী। বাহিরগড় এলাকায় তৃণমূলের সন্ত্রাসে আতঙ্কিত স্থানীয়রা।

[আরও পড়ুন: ‘বর্ণবিদ্বেষী’ মন্তব্য অধ্যাপিকার, বহিষ্কারের দাবিতে ছাত্র বিক্ষোভ উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে]

নির্বাচনের দিন ঘোষণা থেকে পঞ্চম দফার নির্বাচনের শেষ হওয়ার পরেও ক্রমাগত রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাজনৈতিক সংঘর্ষের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। কোথাও শাসকদলের হাতে আক্রান্ত হচ্ছেন বিরোধী দলের কর্মী, সমর্থকরা। কোথাও আবার আক্রমণের শিকার খোদ শাসকদলের কর্মীরাই। এবার ঘটনাস্থল উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের কাশেমপুর এলাকা। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে কাশেমপুরে তৃণমূলের কার্যালয়ের বাইরে ব্যাপক বোমাবাজি করা হয়। এমনকী গুলিও চালানো হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, বিজেপি কর্মী সমর্থকরাই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। যদিও তৃণমূলের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব।

Advertisement

অন্যদিকে, মঙ্গলবার গভীর রাতেই রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হুগলির উত্তরপাড়া ও জাঙ্গিপাড়া এলাকা। জানা গিয়েছে, সোমবার ভোট চলাকালীন উত্তরপাড়ার একটি বুথে সিপিএমের পোলিং এজেন্ট ছিলেন সোমনাথ কংসবণিক। অভিযোগ, সেখানে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের রোষের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। পরে মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় চায়ের দোকানে গিয়ে তাঁর উপর চড়াও হয় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। সেখানে বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে উত্তরপাড়া হাসপাতালে ভরতি করা হয়। যদিও সিপিএমের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।

[আরও পড়ুন: সকালে পঠনপাঠন চালুর দাবিতে আন্দোলনে নামলেন প্রাথমিক শিক্ষকরা]

এদিন রাতেই শাসক-বিরোধী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হুগলির জাঙ্গিপাড়া এলাকা। অভিযোগ, এদিন রাতে স্থানীয় বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে চড়াও হয় প্রায় ২০ জন তৃণমূল কর্মী। মারধর করা হয় বিজেপি কর্মীদের। এ বিষয়ে এখনও পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। অন্যদিকে, জঙ্গিপাড়া এলাকারই অন্য একটি গ্রামে এদিন গোটা রাতে কার্যত দাপাদাপি কর এক মদ্যপ তৃণমূল নেতা। স্থানীয়দের অভিযোগ, থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে পুলিশ তাঁদের কথা শুনতেই চাননি। বরং তারা বলেছেন পঞ্চায়েত সদস্যের থেকে লিখিয়ে আনতে তবেই অভিযোগ নেওয়া হবে। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। 

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement