সৌরভ মাজি, বর্ধমান: সত্যি হল আশঙ্কা। হামলা, প্রাণহানির চেষ্টা হতে পারে অনুমান করে বৃহস্পতিবার সন্ধেয় বর্ধমান থানায় লিখিত অভিযোগ করেছিলেন পূর্ব বর্ধমান (Purba Bardhaman) জেলা পরিষদের সদস্য নুরুল হাসান। এর কয়েকঘণ্টার মধ্যেই তাঁর বাড়িতে হামলা ও বোমাবাজির অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতা শেখ জামালের বিরুদ্ধে। বিধানসভা ভোটের আগে এই ঘটনা স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তি বাড়িয়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের।
ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার বিকেলে। এদিন বর্ধমান থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন নুরুল হাসান। লেখেন, “গতকাল সন্ধেয় ৭ টা নাগাদ ডাঙাপাড়ার নিচুপাড়ায় একটি ঘরে শেখ জামালের নেতৃত্বে গোপন বৈঠক হয়। সেখানে শেখ জামাল ও পিতা মনসুর জামাল জানায় যে কাকলি গুপ্ত ও মানস ভট্টাচার্যের নির্দেশে আমাকে-সহ আরও ৩-৪ জনকে বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে মঙ্গলকোট থেকে দুষ্কৃতী নিয়ে এসে খুন করাবে। শেখ জামাল বলে, পুলিশ তার কিছুই করতে পারবে না। কারণ, নেতা-মন্ত্রী তার হাতের মুঠোয়।” পাশাপাশি, মানস ভট্টাচার্যের কললিস্ট চেক করার দাবিও জানান তিনি।
এই ঘটনার পর বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জেলা পরিষদের সদস্য নুরুল হাসানের বাড়িতে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। বোমাবাজিও করা হয়। গৃহকর্তা নুরুলের কথায়, সেই সময় বাড়িতে কেউ ছিলেন না। শেখ জামাল মাঝ রাতে তাঁর বাড়িতে হামলা করে। জানলার কাঁচ ভেঙেছে। কেউ থাকলে বড়সড় বিপদ হতে পারব। এই ঘটনায় ফের প্রকাশ্যে বর্ধমানে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের ছবি। যদিও এতে দলের কোনও যোগ নেই বলেই দাবি তৃণমূলের ব্লক সভাপতি কাকলি গুপ্ত। উলটে নুরুল হাসানকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি। অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি অভিযুক্ত শেখ জামালের। এবিষয়ে রাজ্য তৃণমূলের মুখপত্র দেবু টুডু বলেন, “পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। দলের অভ্যন্তরীন কোনও সমস্যা থাকলে আমরা তা মিটিয়ে নেব। “
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.