Advertisement
Advertisement

Breaking News

উত্তরকন্যায় সর্বদল বৈঠকের আগে পাহাড়ে বোমাতঙ্ক

বৈঠকে আগে কোণঠাসা গুরুংপন্থীরা?

Bomb threat in Darjeeling ahead of CM Mamata's visit
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:September 12, 2017 5:48 am
  • Updated:September 12, 2017 5:52 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বুধবার উত্তরকন্যায় পাহাড়ের দলগুলির সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় সর্বদল বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই বৈঠকের ঠিক আগে কার্শিয়ং স্টেশন ও বাটা এলাকায় দুটি সন্দেহজনক ব্যাগকে ঘিরে বোমাতঙ্ক ছড়ালো। গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছে পুলিশ। খবর পাঠানো হয়েছে শিলিগুড়ির বম্ব ডিপোজাল স্কোয়াডে। এদিকে শোনা যাচ্ছে, উত্তরকন্যায় সর্বদল বৈঠকে পাহাড়ের জন্য আলাদা একটি প্রশাসনিক কমিটি গঠন করার কথা ঘোষণা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। কমিটির শীর্ষ পদে বসানো হতে পারে বহিষ্কৃত মোর্চা নেতা বিনয় তামাংকে।

[কাঁঠালে পুরে আগ্নেয়াস্ত্র পাচার, মুর্শিদাবাদ যেন ‘মিনি’ মুঙ্গের]

Advertisement

নবান্নে প্রথম দফার সর্বদল বৈঠকের পর পাহাড়ে বনধ প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেছিলেন মোর্চা নেতা বিনয় তামাং। গত মঙ্গলবার বনধ প্রত্যাহারের দাবিতে কার্শিয়ং-এ মিছিলও করেন বিনয় তামাং, অনীত থাপারা। এরপর থেকে ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে কার্শিয়ং। এই প্রেক্ষাপটে উত্তরকন্যায় সর্বদল বৈঠকের দিন বোমাতঙ্ক ছড়ালো সেখানে। এদিন সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা কার্শিয়ং স্টেশনের কাছে ও বাটা এলাকা দুটি ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছে পুলিশ। খবর পাঠানো হয়েছে শিলিগুড়ির বম্ব ডিপোজাল স্কোয়াডে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, সর্বদল বৈঠকে আগে পাহাড়ে নতুন করে আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য ব্যাগে আইইডি রাখা হতে পারে। প্রসঙ্গত, পাহাড়ে আন্দোলন পর্বে বেশ কয়েকটি জায়গায় বিস্ফোরণ ঘটেছে ঠিকই। তবে কার্শিয়ং কোনও বিস্ফোরণ হয়নি।

[জেলা জুড়ে বাম বিক্ষোভে পুলিশকে ইট, বোমা হামলা]

এদিকে, উত্তরকন্যায় দ্বিতীয় দফায় সর্বদলের বৈঠকে আগে কিছুটা কোণঠাসা গুরুংপন্থীরা। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ছ’জন প্রতিনিধি পাঠাতে চেয়েছিলেন মোর্চা সুপ্রিমো। কিন্তু, মোর্চার যে তিনজন বিধায়ক কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়েছিলেন, তাঁদেরকেই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বৈঠকে হাজির থাকবেন বিনয় তামাং, অনীত থাপার মতো মোর্চার আলোচনাপন্থী নেতারাও। মোর্চার ছাড়া মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেবেন জিএনএলএফ ও জাপের প্রতিনিধিরাও। সূত্রে খবর, বৈঠকে গোর্খাল্যান্ড নিয়ে সম্ভবত আলোচনা হবে না। তবে পাহাড়ের জন্য স্থানীয়ভাবে প্রশাসনিক কমিটি গঠন করার কথা ঘোষণা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কমিটি শীর্ষপদে বসানো হতে পারে বিনয় তামাংকে। অন্যদিকে মোর্চার নেতৃত্বাধীন সমন্বয় কমিটি থেকে বেরিয়ে আসার কথা ঘোষণা করেছে গোর্খা লিগ। বুধবারের সর্বদল বৈঠকে যোগ দিচ্ছে না তারা। গোর্খা লিগের সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ খাতি জানিয়েছেন, সমন্বয় কমিটিতে মোর্চা বাদে অন্য দলের প্রতিনিধিদের কথা শোনা হচ্ছে না। বরং মোর্চাকে আড়াল করার চেষ্টা চলছে।

[মা-বাবার চোখের সামনেই রিক্সা থেকে নর্দমায় পড়ে মৃত্যু একরত্তি মেয়ের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement