ছবি: প্রতীকী
অতুলচন্দ্র নাগ, ডোমকল: ফের রাজনৈতিক অশান্তি মুর্শিদাবাদের ডোমকলে। সোমবার রাতে তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে চলে বোমাবাজি। তিনি প্রাণে বাঁচলেও গুরুতর জখম। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। বোমাবাজির জেরে আজ সকালেও থমথমে এলাকা। আতঙ্ক জাঁকিয়ে বসেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মনে।
দলীয় কার্যালয় থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া বোমায় গুরুতর জখম হলেন তৃণমূলের এক উপপ্রধানের স্বামী ও তার দুই অনুগামী। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ডোমকলের জুড়ানপুরে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জখম তৃণমূল নেতার নাম সফিকুল ইসলাম, তাঁর বয়স আনুমানিক চল্লিশ বছর। তিনি জুড়ানপুরে গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের স্বামী। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ডোমকল মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করা হয়। তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।কিন্তু সেখানেও চিকিৎসকরা অবস্থা বিশেষ ভাল নয়, তা বুঝে কলকাতায় নীলরতন সরকার হাসপাতালে রেফার করেছেন।
জানা গিয়েছে, সফিকুলের সঙ্গে বাইকে থাকা দু’জনও বোমার আঘাতে জখম হয়েছেন। কিন্তু ডোমকল মহকুমা হাসপাতালে তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা সম্পর্কে সফিকুলের খুড়তুতো ভাই ও শ্যালক। ওই ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন পুলিশ বাহিনী।
ডোমকল ব্লক তৃণমূলের সভাপতি হাজিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, “কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীদের আক্রমণে ওই ঘটনা ঘটেছে।” যদিও কংগ্রেস ব্লক সভাপতি বিকাশ ঘোষের কথায়, “ওটা তৃণমূলের নতুন-পুরাতন গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বের কারণে ঘটেছে। এর সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্কই নেই।” স্থানীয়রা বলছেন, “আক্রমণকারীদের হামলায় সফিকুলের শালা ও খুড়তুতো ভাইও জখম হয়েছেন।” ডোমকলের এসডিপিও জানান, পারিবারিক বিবাদের জেরে ওই ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক অনুমান। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এখনও কারও গ্রেপ্তারির খবর নেই। কংগ্রেস-তৃণমূল সংঘর্ষই হোক বা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব – মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন জায়গায় এই সমস্যা রয়েছে। সফিকুলের উপর হামলার ঘটনা সেই তালিকাকে আরও দীর্ঘ করে তুলল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.