নবেন্দু ঘোষ, বসিরহাট: একসঙ্গে স্বাধীনতা দিবস ও রাখি। বঙ্গবাসীর জন্য একই দিনে আজ ডবল সেলিব্রেশন। কিন্তু নুসরতের কাছে আজকের দিনে দ্বিগুণ ব্যস্ততা। তিনি বসিরহাটের সাংসদ বলে কথা। তাই একদিকে যেমন তাঁর পতাকাত্তোলনের জন্য যেতে হয়েছে, তেমনই রাখি পরানোর উৎসবেও শামিল হতে হয়েছে। তাই বৃহস্পতিবার গোটা দিনটাই বসিরহাটের সাংসদের কাটল তুমুল ব্যস্ততার মধ্যে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কাজে ঠাসা ছিল নুসরতের শিডিউল। সকাল সাড়ে দশটার মধ্যেই নুসরত জাহান পৌঁছে যান নিজের কেন্দ্র বসিরহাটে। সঙ্গে ছিলেন স্বামী নিখিল জৈন। বসিরহাট জেলা হাসপাতালের সামনে তিনি পতাকা উত্তোলন করেন। সেখানে দলীয় কর্মী ও উপস্থিত জনসাধারণের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের পর তিনি রাখিবন্ধন উৎসবে যোগ দিতে রওনা দেন। বেলা ১২ নাগাদ বসিরহাট পুরসভার ১৩ নং ওয়ার্ডে পৌঁছন নুসরত। সেখানে রাখিবন্ধন উৎসবে অংশ নেন। শান্তির বার্তা দিতে নুসরত সেখান থেকে বেলুন ও পায়রা ওড়ান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক ও দলীয় কর্মীরা।
সেখান থেকে নিমদাড়ি কোদালিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে যান নুসরত। একটি ফুটবল টুর্নামেন্ট ছিল সেই গ্রাম পঞ্চায়েতে। বসিরহাটের সাংসদ সেই টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বসিরহাট দক্ষিণের বিধায়ক ও ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাস। অনুষ্ঠানে তাঁকে রাখি পরান নুসরত। এরপর ফুটবলে কিক করে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন তাঁরা। এরপর নুসরত যান মিনাখায়। সেখানেও একটি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার গোটা দিনটাই নুসরত জাহানের ছায়াসঙ্গী ছিলেন স্বামী নিখিল জৈন। স্ত্রীয়ের সঙ্গে এদিন সর্বত্র যান তিনিও। আজ নুসরত যেখানেই গিয়েছেন, শান্তির বার্তা প্রচার করেছেন। জাতি ও ধর্মের ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে এক হয়ে লড়াই করার কথা বলেছেন। তবে হাজার হোক তিনি তো রাজনীতিবিদ, তাই রাজনীতির সূক্ষ্ণ ইঙ্গিত ছিল। কিন্তু মোটের উপর বসিরহাটের সাংসদ এদিনও জানিয়ে দিলেন তিনি বসিরহাটের মানুষের পাশে রয়েছেন। তা পতাকাত্তোলন করেই হোক বা রাখি পরিয়ে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.