সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে কিংবা কারও মৃত্যু হলে, কিছু না জেনেই কারণ হিসাবে করোনাকেই (Coronavirus) দায়ী করছেন অনেকেই। তার ফলে মৃত কিংবা অসুস্থ ব্যক্তির পরিজনরা প্রায়শই প্রতিবেশীদের দুর্ব্যবহারের শিকার হচ্ছেন। কখনও কখনও চূড়ান্ত হয়রানিরও শিকার হতে হচ্ছে তাঁদের। এবার সেই গুজবের জেরে দীর্ঘক্ষণ বাড়িতে মরদেহ রেখে দিতে বাধ্য হলেন নিহতের পরিজনেরা। অমানবিক ঘটনার সাক্ষী দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর (Sonarpur) থানার গোবিন্দপুর নয়াবাজার এলাকা।
ঠিক কী হয়েছিল? শনিবার সকাল পাঁচটা নাগাদ ওই এলাকারই বাসিন্দা আটচল্লিশ বছর বয়সি সঞ্জয় চক্রবর্তীর মৃত্যু হয়। এলাকায় রটে যায় সঞ্জয়বাবুর মৃত্যুর কারণ মারণ করোনা ভাইরাস। যদিও তাঁর পরিবারের দাবি একেবারেই অন্যরকম। তাঁরা প্রতিবেশীদের জানান, চিকিৎসক মৃত ব্যক্তিকে দেখেছেন। তিনি ডেথ সার্টিফিকেটও দিয়েছেন। তাতে স্পষ্ট লেখা রয়েছে সঞ্জয়বাবুর মৃত্যুর কারণ হৃদরোগ।
যদিও প্রতিবেশীরা সেকথা মানতে নারাজ। পুরো বিষয়টি সাজানো বলেই দাবি প্রতিবেশীদের। তাঁদের দাবি, করোনায় আক্রান্ত হয়েই প্রাণ গিয়েছে সঞ্জয় চক্রবর্তীর। এই খবর রটে যাওয়ার পর পাড়া প্রতিবেশীরা আতঙ্কে তাঁদের বাড়ির দিকে পা-ও বাড়াননি। এমনকী, তাঁদের বাড়ির সামনে রাস্তা দিয়েও অনেকেই যাতায়াত বন্ধ করে দেন।
একথা রটে যাওয়ার ফলে দেহ সৎকার করতে নিয়ে যাওয়ারও লোক পাওয়া যাচ্ছিল। তাই প্রায় দশ ঘণ্টা বাড়িতেই পড়েছিল দেহ। দীর্ঘক্ষণ পর যদিও এলাকারই দু’জন এগিয়ে আসেন। তাঁদের শববাহী গাড়ির বন্দোবস্ত করেন। গাড়ি বাড়ির সামনে আসার পর তাতে শবদেহটি তোলা হয়। তারপর ওই মৃতদেহ নিয়ে তাঁরা শ্মশানের উদ্দেশে রওনা দেন। শোকের সময় প্রতিবেশীদের এমন দুর্ব্যবহারে প্রায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত মৃতের পরিজনেরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.