অর্ণব দাস, বারাসত: বাড়ি থেকে উদ্ধার হল গৃহবধূর পচাগলা মৃতদেহ। বুধবার বিকেলে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে অশোকনগর থানার সুভাষপল্লি এলাকায়। পুলিস সূত্রে জানা গেছে, মৃতের নাম মালা দত্ত। বয়স ৩৭।
স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অশোকনগর পুরসভার ১৭নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষপল্লি এলাকায় বাসিন্দা কল্যাণ দত্ত। তিনি জলের পাইপ লাইনের কাজ করেন। তাঁর স্ত্রী মালা দত্ত দীর্ঘদিন ধরে স্নায়ু রোগে ভুগছিলেন। দু’জনের ১৮ বছরের ছেলেও রয়েছে। নাম অর্ঘ্য। তারও শারীরিক সমস্যা রয়েছে বলে খবর। এলাকাবাসীরা জানান, পরিবারের কেউ স্থানীয়দের সঙ্গে মেলামেশা করতেন না।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলে পর থেকেই পচা গন্ধ পাচ্ছিলেন প্রতিবেশীরা। তখন বিষয়টি এড়িয়ে গেলেও বুধবার সকাল থেকে পচা গন্ধের তীব্রতা বেড়ে গেলে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। এরপর স্থানীয়রাই পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। যখন পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে তখন বাড়িতে স্বামী এবং ছেলে ছিলেন।
ঘরের বিছানার গৃহবধূর পচাগলা মৃতদেহের উপর চাদর চাপানো ছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। মৃতদেহ সংরক্ষণ কিংবা তুকতাক করার কোনও নমুনা পাওয়া যায়নি। মৃতদেহ লোপাটের চেষ্টাও করা হয়নি। মৃত গৃহবধূর স্বামী এবং ছেলে মানসিক ভাবে অসুস্থ বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান।
মৃতার ভাই মানস মুখোপাধ্যায় বলেন, “গত শুক্রবার দিদিকে দেখতে এসেছিলাম। দিদি বলেছিল, ডাক্তার দেখাচ্ছে না। ওষুধ এনে দিচ্ছে না। খুব কষ্ট হচ্ছে। আমি চিকিৎসার টাকা দিয়ে আসি।” মানসবাবুর অভিযোগ, “বিনা চিকিৎসায় দিদিকে মেরে ফেলা হয়েছে। বাড়িতে মৃতদেহ পচতে শুরু করলেও ওরা কীভাবে চুপচাপ ছিল। আমরা খুনের অভিযোগ দায়ের করব।” কী কারণে মহিলার মৃত্যু হয়েছে? ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই তা জানা যাবে। প্রয়োজনে প্রতিবেশীদের বয়ান রেকর্ড করে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.