পলাশ পাত্র, তেহট্ট: অবশেষে নদিয়ায় ফিরল চন্দ্রভাগা অভিযানে গিয়ে মৃত সাহেব সাহার দেহ। সোমবার সকাল ৮ টা নাগাদ দমদম বিমানবন্দরে পৌঁছয় তাঁর দেহ। এরপর গাড়িতে রওনা হয় কৃষ্ণনগরের উদ্দেশ্যে। বেলা ১১টা নাগাদ কৃষ্ণনগরে পৌঁছয় সাহেবের কফিনবন্দি দেহ। দেহ বাড়িতে পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃত অভিযাত্রীর পরিবার। শোকের ছায়া গোটা এলাকায়।
১০ সেপ্টেম্বর নেচার অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার লাভার্স অ্যাসোসিয়েশানের তরফে ১৩ জনের একটি অভিযাত্রী দল কৃষ্ণনগর থেকে মানালির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সেই দলেই ছিলেন নদিয়ার চাপড়া থানার বাসিন্দা সাহেব সাহা। ১৪ সেপ্টেম্বর রোটাং পাস থেকে শেষবার পরিবারের সঙ্গে কথা হয় সাহেববাবুর। জানান, অভিযান শেষে আবার বাড়িতে ফোন করবেন। এরপর শুরু হয় অভিযান পর্ব। ১৪ হাজার ফুট উচ্চতায় বেস ক্যাম্পে পৌঁছয় দলটি। পরে শুক্রবার ওই সংস্থার তরফে সাহেববাবুর বাড়িতে গিয়ে জানানো হয় মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। জানা যায়, বেস ক্যাম্পে পৌঁছনোর পরই শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছিল সাহেবের। বেশ কিছুক্ষণ সময় পেরিয়ে যায় তাঁকে নিচে নামাতে। ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। পরে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির।
এরপর হিমাচল প্রদেশের কাজা থানা এলাকায় রাখা হয় সাহেববাবুর দেহ। সেখানেই ময়নাতদন্তের পর হিমাচল প্রদেশ থেকে দেহ পাঠানো হয় কৃষ্ণনগরে। রবিবার সকাল ১১ টা নাগাদ সাহেববাবুর কৃষ্ণনগরের ফ্ল্যাটে পৌঁছয় কফিনবন্দি দেহ। দেহ পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়ে গোটা পরিবার। আধ ঘণ্টা সেখানে থাকার পর সাহেবের আদি বাড়ি চাপড়ার উদ্দেশে রওনা হয় কফিনবন্দি দেহ। জানা গিয়েছে, সেখানে কিছুক্ষণ রাখার পর সৎকারের জন্য নবদ্বীপে নিয়ে যাওয়া হবে অভিযাত্রীর দেহ। পরিবারের বারণ সত্বেও শৃঙ্গজয়ের নেশায় ঘর ছেড়েছিলেন কৃষ্ণনগরের সাহেব। কেউ ভাবতেও পারেননি নেশাই কেড়ে নেবে প্রাণ। কিন্তু কীভাবে মৃত্যু হল সাহেবের, তা এখনও ধোঁয়াশা। নেচার অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার লাভার্স অ্যাসোসিয়েশানের তরফে বলা হয়েছে, এখনও মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। তবে কাজা থানা থেকে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলেই সাহেবের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.