সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শেয়ার বাজারে লাগাতার বিনিয়োগ কিন্তু মেলেনি মন মতো ফল। উলটে গত দুবছর ধরে লাগাতার লোকসানের মুখে পড়ছিলেন সোনারপুরের (Sonarpur) বাসিন্দা গৌতম মজুমদার। লাভের আশায় বসতভিটেও বিক্রি করে সেই টাকা শেয়ার বাজারে ঢেলেছিলেন। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। লোকসানের ধাক্কা সামলাতে না পেরে মৃত্যুর পথ বেছে নিলেন তিনি। একই পথে হেঁটেছেন তাঁর মা-ও। তবে মৃত্যুর কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে সোনারপুর পুলিশ। আত্মহত্যা নাকি খুন তা তদন্ত করে দেখছে তারা।
শুক্রবার রাতে সোনারপুরের সুভাষগ্রাম এলাকার একটি বাড়ি থেকে জোড়া মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃতদের নাম গৌতম মজুমদার ও তপতী মজুমদার। জানা গিয়েছে, গৌতমবাবু শেয়ার মার্কেটের কর্মী ছিলেন। শেয়ার বাজারে বিপুল টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু গত দু’বছর ধরে লাভের মুখ দেখেননি। মাস কয়েক আগে সুভাষগ্রামের বসতবাড়িও বিক্রি করে দিয়েছিলেন তিনি। সেই টাকাও শেয়ার বাজারে ঢেলেছিলেন। কিন্তু পরিস্থিতির হেরফের হয়নি। উলটে সেই টাকাও ডুবে যায় বলে খবর। আর্থিক অনটনে জর্জ্জরিত গৌতমবাবু মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলে খবর।
শুক্রবার সন্ধেয় স্ত্রী ও সন্তান বাজারে গিয়েছিলেন। ফিরে এসে তাঁর স্ত্রী দরজা ধাক্কালেও কেউ খোলেনি। শেষপর্যন্ত প্রতিবেশীদের ডাকেন তিনি। তাঁরা পুলিশে খবর দেন। দরজা ভেঙে দেখা যায় খাবার ঘরে গৌতমবাবুর দেহ পড়ে রয়েছে। ভিতর ঘরে পড়েছিল তাঁর মায়ের দেহ। মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা উঠছিল বলে খবর। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। সেই রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে বলে মনে করছে পুলিশ।
তদন্তকারী আধিকারিকদের সন্দেহ, আর্থিক অনটনের জেরেই আত্মহত্যা করেছেন গৌতমবাবু। তবে তাঁর মা আত্মঘাতী হয়েছেন নাকি তপতীদেবীকে খুন করে আত্মহত্যা করেছেন গৌতবাবু, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, কারোর সঙ্গে শত্রুতা ছিল না গৌতমবাবুর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.