চঞ্চল প্রধান, হলদিয়া: যুবকের মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির গোপালচক গ্রামে। বুধবার বিকেলে হলদি নদীর ধারে একটি বস্তার ভিতর থেকে উদ্ধার হয় দেহটি। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, খুন করা হয়েছে ওই যুবককে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই গোটা বিষয়টি স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। অভিযুক্তদের চরম শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন মৃত যুবকের পরিবারের সদস্যরা।
পূ্র্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের গোপালচকের বাসিন্দা মৃত অভিজিৎ মাইতি। স্থানীয় কনকপুর গ্রামের একটি মাছের ভেড়ির কর্মী ছিলেন ওই যুবক। জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধেয় বাড়ি ফেরার পর তাঁর মোবাইলে একটি ফোন আসে। এরপর নিজের মোবাইলটি বাড়িতে রেখেই বেরিয়ে যান তিনি। এরপর দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও আর বাড়ি ফেরেননি। পরে পরিবারের সদস্যরা এলাকায় খোঁজখবর করলেও হদিশ পাওয়া যায়নি তাঁর।
পরে বুধবার সন্ধেয় হলদি নদীর ধারে একটি বস্তা পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। সেটি দেখেই সন্দেহ জাগে স্থানীয়দের। পুলিশে খবর দিয়ে স্থানীয়রাই বস্তাটি খোলেন। সেই বস্তার ভিতর থেকেই উদ্ধার হয় অভিজিতের মুন্ডুহীন দেহ। এরপর নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহটি উদ্ধার করে। পরিবারের সদস্যরা গিয়ে দেহটি শনাক্ত করার পর সেটি ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে ঘটনাটি খুন বলে পুলিশ আধিকারিকরা অনুমান করলেও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই বিষয়টি স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু কেন খুন করা হল অভিজিৎকে? ব্যক্তিগত আক্রোশ নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য কোনও কারণ, তা ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। কারও সঙ্গে অভিজিতের সঙ্গে অশান্তি ছিল কি না তা জানতে ইতিমধ্যেই এলাকার বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.