বাবুল হক, মালদহ: স্ত্রীর আপত্তিকর ছবি ভাইরাল করে জেল খেটেছিলেন। জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার সেই যুবকেরই মুণ্ডহীন দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদহের (Malda) হরিশচন্দ্রপুরে। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। মৃতের পরিবারের দাবি, শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা খুন করেছে যুবককে।
রবিবার সকালে মালদহের কনকনিয়া রেলগেটের পাশে এক যুবকের মুন্ডহীন ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ খবর পেয়ে দেহ উদ্ধার করে। এর পর জানা যায়, মৃত যুবকের নাম কাজিরুল ইসলাম (২৫)। বাড়ি ওই এলাকারই কাতলামারী গ্রামে। মৃতের পরিবারের লোকের দাবি, শনিবার রাতে কাজিরুল টেটিয়া গ্রামে জলসা দেখতে গিয়েছিলেন তিনি। ওই গ্রামেই তাঁর স্ত্রী জাসমিনারা খাতুনের এক আত্মীয়ের বাড়ি। জালসা থেকে জাসমিনারার মামা এবং মেসো তুলে নিয়ে যায় কাজিরুলকে, এমনটাই অভিযোগ। তার পর নাকি যুবককে খুন করে রেললাইনে ফেলে দেওয়া হয় দেহ।
কিন্তু কেন এই হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ? কাজিরুলের পরিবারের সদস্যদের দাবি, মৃতের স্ত্রীর অন্যত্র সম্পর্ক ছিল। তা নিয়ে বিবাদ চরমে উঠেছিল। যুবকের স্ত্রী বাবার বাড়িতেই থাকতেন। এর আগেও তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা কাজিরুলকে মারধর করেছে এবং মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে বলে অভিযোগ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জাসমিনারা খাতুনের সঙ্গে কাজিরুলের সম্পর্ক ভালো ছিল না কোনওদিনই। তাই শ্বশুরবাড়ির লোকেদের সঙ্গে বিবাদ লেগে থাকত কাজিরুলের। অভিযোগ, মৃত যুবক স্ত্রীর ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় আপলোড করে দিয়েছিলেন। সেই কারণেই জেল খাটতে হয়েছিল। তার পর যুবকের এই রহস্যমৃত্যু স্বাভাবিকভাবেই একাধিক প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। তবে ঠিক কীভাবে মৃত্যু হল ওই যুবকের তা এখনও স্পষ্ট নয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.