দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: ত্রিকোণ প্রেমের ভয়ংকর পরিণতির সাক্ষী রইল হুগলির (Hooghly) বৈদ্যবাটি। রাস্তার পাশে খালে মিলল যুবকের টুকরো করা দেহ। ১১ অক্টোবর কামারপাড়ার বাড়ি থেকে মৃত যুবককে তুলে নিয়ে গিয়েছিল এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী।
চুঁচুড়ার কামারপাড়া রায়েরবেড় এলাকার বাসিন্দা ছিলেন বছর ২৩-এর বিষ্ণু মাল। স্থানীয় মার্কণ্ডবলী এলাকার এক তরুণীর সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল তাঁর। ১১ অক্টোবর সন্ধেয় বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ফোনে প্রেমিকার সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি। সেই সময় কয়েকজন যুবক ডেকে তাঁকে সন্দেশশ্বরতলার দিকে নিয়ে যায়। সেখানে যেতেই জোর করে একটি গাড়িতে তোলার চেষ্টা করা হহয় বিষ্ণুকে। স্বাভাবিকভাবেই তিনি বাধা দেন। অভিযুক্তদের সঙ্গে কথাকাটি হয় তাঁর। সেই সময়ও ফোন ধরেই ছিলেন বিষ্ণুর প্রেমিকা। ফলত বিষয়টি শুনতে পান এবং ওই দলের মধ্যে বিশাল নামে একজনের গলার আওয়াজ শনাক্তও করতে পারেন তিনি।
এরপরই বিপদের আশঙ্কা করে তড়িঘড়ি চুঁচুড়া থানায় ফোন করেন ওই তরুণী। গোটা বিষয়টি জানান পুলিশকে। বিষ্ণুর খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি। নবমীর রাতে মূল অভিযুক্ত বিশালের দুই সাগরেদকে গ্রেপ্তার করে চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ। তাঁদের জেরা করতেই জানা যায়, দিল্লি রোডের ধারে খালে ফেলে দেওয়া হয়েছে বিষ্ণুর টুকরো করা দেহ। সেই তথ্যের ভিত্তিতে তল্লাশি চালিয়েই ওই যুবকের দুটি হাত ও দুটি পা উদ্ধার করে পুলিশ। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা হাতে থাকা ট্যাটু দেখে শনাক্ত করে বিষ্ণুকে। কিন্তু কেন এই নৃশংসতা? মৃতের প্রেমিকার বক্তব্য অনুযায়ী, বিশালের নজর পড়েছিল তাঁর উপর। কিন্তু বিষয়টিকে পাত্তা দেননি তিনি। সেই কারণেই বিশালের রাগ গিয়ে পড়ে বিষ্ণুর উপর। তবে তার ফল এতটা মারাত্মক হতে পারে তা ভাবতেও পারেননি ওই তরুণী। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত বিশালের খোঁজ তল্লাশি শুরু হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.