ছবিটি প্রতীকী
ধীমান রায়, কাটোয়া: ভাগাড় থেকে শিশুকন্যার দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে পুর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার অর্জুনডিহি গ্রামে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে সৎকারের নির্দেশ দেন পরিবারকে।
কাটোয়ার গোয়ালপাড়া ও অর্জুনডিহি গ্রামে একটি ফাঁকা জায়গা রয়েছে। সেখানে মৃত পশুর দেহ ফেলেন গ্রামবাসীরা। বুধবার সকালে সেই ভাগাড়েই ৭ মাসের শিশুকন্যার দেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকার এক বাসিন্দা। খবর পেয়ে কাটোয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুর দেহটি উদ্ধার করে। তদন্তে নেমে পুলিশ শিশুটির পরিচয় জানতে পারে। জানা যায়, মঙ্গলবারই মৃত্যু হয়েছে শিশুটির। এরপরই পরিবারের তরফে শিশুটির দেহ ওই জায়গায় ফেলে যাওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, গোয়ালপাড়া গ্রামের বাসিন্দা পেশায় ধৌল ঘোষ মৃত শিশুটির বাবা। তার ৭ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। ৭ মাস আগে জন্ম হয় মেয়ে অনুষ্কার। জন্মের পর থেকেই অসুস্থ ছিল অনুষ্কা। পরে ধরা পড়ে হৃদযন্ত্রে জটিল সমস্যা রয়েছে শিশুটির। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় এক সপ্তাহ আগে দুর্গাপুর মিশন হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল অনুষ্কাকে। মঙ্গলবার সেখানে মৃত্যুর পর দেহটি বাড়িতে নিয়ে আসেন ধৌল বাবুরা। এরপর মঙ্গলবার রাতে মেয়ের দেহ ভাগারের জমিতে ফেলে রেখে আসা হয় পরিবারের তরফে। কিন্তু কেন এই সিদ্ধান্ত? ধৌলবাবু বলেন, “আমাদের পরিবারে নিয়ম রয়েছে দুই বছর বয়স না হলে মৃতদেহ দাহ বা সমাধি করা যাবে না। তাই দেহটি ভাগারের জমিতে শুইয়ে রেখে এসেছিলাম।” ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পরই পুলিশ শিশুটির বাড়িতে গিয়ে মৃত্যুর সংশাপত্র দেখেন। এরপর শিশুটিকে দাহ করার নির্দেশ দেন। বুধবার বিকেলে দাহ করা হয়েছে অনুষ্কাকে।
ছবি: জয়ন্ত দাস
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.