ছবি: প্রতীকী
দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: সাতসকালে পুকুর থেকে উদ্ধার এক শিশুকন্যার দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকালে ক্যানিং থানার অন্তর্গত তালদি গ্রাম পঞ্চায়েতের বয়ারসিং গ্রামে। ঘটনার খবর পেয়েই ক্যানিং থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শিশুকন্যার উদ্ধার করে। কীভাবে মৃত্যু হল শিশুটির তা নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, গত প্রায় বছর বারো আগে টালিগঞ্জের প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে বিয়ে হয় বাবু নস্করের। রাস্তায়, বাজার হাটে কাগজ,প্লাস্টিক কুড়িয়ে দিন যাপন করেন ওই দম্পতি। গত দু’বছর আগে ক্যানিংয়ের তালদির বয়ারসিং গ্রামের একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতে শুরু করেন তাঁরা। দম্পতির এক সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। ছোট মেয়ে রিয়া। বয়স ৭ বছর। গত রবিবার বাড়িতে খেলছিল সে। এরপর আচমকা নিখোঁজ হয়ে যায়। বিস্তর খোঁজাখুজি করে না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েন কাগজ কুড়ানি দম্পতি।
এরপর অন্যান্য ভাড়াটিয়া, গ্রামের মানুষ এবং বাড়ির মালিক বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ করতে থাকেন ওই শিশুকন্যার। কিন্তু লাভ হয়নি। শেষে রবিবার ক্যানিং থানায় একটি নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করেন দম্পতি। পরে প্রতিবেশীরা আরও বিস্তর খোঁজখবর শুরু করেন। যাতে করে শিশুকন্যাকে পাওয়া যায়, তার জন্য এলাকার মানুষের সহযোগিতায় বিভিন্ন বাজার, হাট, ষ্টেশন চত্বরে শিশুটির পোষ্টার দেয়।
এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সকালে আচমকা ভাড়া বাড়ির সামনের পুকুরে একটি দেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। দেখা যায় সেটি নিখোঁজ শিশুকন্যার দেহ। হইচই পড়ে যায় এলাকায়। খবর দেওয়া হয় ক্যানিং থানায়। মৃত শিশু কন্যার বাবা-মায়ের অভিযোগ, তাদের মেয়ে জলে ডুবে মরতে পারে না। তাকে খুন করা হয়েছে। কে বা কারা খুন করতে পারে? এমন প্রশ্নের উত্তরে ওই দম্পতি জানায়, গত প্রায় দু’মাস আগে এক মহিলার সঙ্গে তাঁর গণ্ডগোল হয়েছিল। সেই মহিলাকে তাঁরা চেনেন না বিশেষ। ওই মহিলাই রিয়াকে খুন করেছে। বাড়ির মালিক রোজিনা শাহ বলেন, “ঘটনাটা খুব দুঃখজনক। পুলিশ সঠিক তদন্ত করে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দিক।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.