প্রতীকী ছবি।
শাহাজাদ হোসেন, ফরাক্কা: পুজোতে দাদুর বাড়িতে বেড়াতে যাওয়াই কাল! বেশ কিছুক্ষণ নিখোঁজ থাকার পর প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে উদ্ধার নাবালিকার বস্তাবন্দি দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কায়। ওই বাড়ির মালিককে বেধড়ক মারধর করে উত্তেজিত জনতা। জখম অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। এদিকে নাবালিকার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
ফরাক্কা ব্লকের দু’ নম্বর নিশিন্দ্রা কলোনি সুভাষপল্লির বাসিন্দা ওই নাবালিকা। দুর্গাপুজো উপলক্ষে বাড়ি থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে পলাশি রেল কলোনি পাড়ায় দাদুর বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিল সে। রবিবার সকালে নাবালিকা দাদুর বাড়ির সামনে কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে খেলছিল। আচমকা সে নিখোঁজ হয়ে যায়। পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। কিছুক্ষণ পর নাবালিকার দাদু প্রতিবেশী দীনবন্ধু হালদারের বাড়ির ভিতরে থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় নাবালিকার দেহ উদ্ধার করেন। ঘটনা জানাজানি হতেই উত্তেজিত জনতা দীনবন্ধু হালদারের বাড়িতে হামলা চালায়। ভাঙচুর করা হয় আসবাবপত্র। দীনবন্ধুকে ব্যাপক মারধর করা হয়।
মৃত নাবালিকার দাদু জানান, “সকাল ন’ টা থেকে নাতনি বাড়ির সামনে কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে খেলা করছিল। দুপুর বারোটার পর থেকে তাকে আর খুঁজে পাচ্ছিলাম না। এর পর নাতনির বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি দীনবন্ধু নাতনিকে ডেকে নিয়ে গিয়েছে। দীনবন্ধুর বাড়িতে তল্লাশি চালাতেই বাড়ির এক কোণে একটি বস্তার মধ্যে থেকে নাতনির প্রাণহীন দেহ দেখতে পাই। আমি নিশ্চিত দীনবন্ধুই আমার নাতনিকে খুন করেছে। কিন্তু কী কারণে এই খুন তা জানি না। আমাদের সঙ্গে দীনবন্ধুর কোনও অশান্তি ছিল না।” স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নাবালিকার দেহ ভিজে অবস্থায় ছিল। উর্ধাঙ্গে বস্ত্র ছিল না। অনেকের অনুমান ওই নাবালিকাকে জলে ডুবিয়ে খুন করা হয়ে থাকতে পারে।” এ প্রসঙ্গে জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার আনন্দ রায় জানান, “আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নাবালিকার মৃত্যুর সঠিক কারণ অনুসন্ধানে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠান হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.