ছবি: প্রতীকী
সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: শিশুদিবসে এক খুদে পড়ুয়ার গলা ও হাত কাটা পচাগলা দেহ উদ্ধার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়গ্রামের (Jhargram) জামবনি থানার চিল্কিগড় এবং গিধনির মাঝে খাটগেড়িয়ার জঙ্গলে। পুলিশের অনুমান, শিশুটিকে অন্যত্র খুন করে দেহ ফেলে দেওয়া হয়েছে ওই জঙ্গলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার জামাবনি থানার ব্লক সদর গিধনি ঢোকার আগে খাটগেড়িয়া গ্রামের কাছে জঙ্গলে ছাগল চড়াতে গিয়েছিলেন স্থানীয়রা। সেই সময় তাঁরা দেখতে পান কয়েকটি কুকুর একটি জিনিস নিয়ে টানাটানি করছে। প্রথমে তাঁরা বিষয়টি বুঝতে পারেননি। তবে দুর্গন্ধও পান তাঁরা। এরপরই বুঝতে পারেন বছর পাঁচ-ছ’য়ের এক শিশুপুত্রের দেহ নিয়ে টানাটানি করছে সারমেয়। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় থানায়।
পুলিশ জানিয়েছে, শিশুটির দেহ থেকে আলাদা করে দেওয়া হয়েছে মাথা। কাটা ছিল দুটো হাতও। দেহের অদূরেই পড়েছিল কাটা মাথা এবং কাটা হাত। দেহের পাশ থেকে শিশু শ্রেণির বই, খাতা, জলের বোতল, বইয়ের ব্যাগ, এক জোড়া জুতো, এক জোড়া চপ্পল, বেশ কিছু জামা ও শাড়ি পাওয়া গিয়েছে। সেখানেই পড়েছিল সাইকেলের একটি ঝুড়ি। তবে শিশুটির নাম, পরিচয় এখনও জানতে পারেননি পুলিশ আধিকারিকরা। শীঘ্রই তা জানা যাবে বলে আশাবাদী তাঁরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বিকেল পর্যন্ত জামবনি থানায় কোনও শিশু নিখোঁজের অভিযোগ হয়নি। সেই কারণেই পুলিশ মনে করছে বাইরে থেকে খুন করে শিশুটিকে ফেলে দেওয়া হয়েছে জঙ্গলে। এ বিষয়ে ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ সুপার বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, “শিশুটির নাম পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। খুনের মামলা রুজু করা করে তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, খুন করে বাইরে থেকে এনে ফেলে দেওয়া হয়েছে।” পুলিশ মৃহদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। বিভিন্ন থানার মাধ্যমে শিশুটির পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.