সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: জঙ্গলের মধ্যে থেকে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের গলাকাটা দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। সোমবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঢোলাহাট থানার পূর্ণচন্দ্রপুরে। শিক্ষক খুনের ঘটনার সিআইডি তদন্তের দাবি জানিয়ে সোমবার সকালে দেহ আটকে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার পূর্ণচন্দ্রপুরের বাসিন্দা রামপদ করণ নামে ওই বৃদ্ধ শ্রীনারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ণচন্দ্রপুর হাইস্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। জানা গিয়েছে, রবিবার বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন তিনি। এরপর আর বাড়ি ফেরেননি। দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও স্বামী না ফেরায় এলাকায় রবিবার রাতেই এলাকায় খোঁজাখুজি শুরু করে রামপদবাবুর স্ত্রী। পরে সোমবার সকালে বাড়ির পাশের একটি জঙ্গলে রামপদবাবুর গলাকাটা দেহ পড়ে থাকতে দেখেন মৃতের স্ত্রী। তাঁর আর্তনাদে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে হাজির হয়। খবর দেওয়া হয় ঢোলহাট থানায়। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহ উদ্ধার করতে গেলে তাঁদের বাধা দেন স্থানীয়রা। ঘটনার সিআইডি তদন্তের দাবি জানিয়ে পুলিশের সামনে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। মুহূর্তে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা।
[আরও পড়ুন: শ্যাওলা থেকে কাগজ তৈরিতে সাফল্য, মিলল রোজগারের নতুন দিশা]
দেহ আটকে দীর্ঘক্ষণ চলে বিক্ষোভ। তাঁরা দাবি করেন, সবার প্রিয় মাস্টারমশাইকে কে বা কারা খুন করল তা প্রকৃত তদন্ত করতে হবে। সিআইডি তদন্তের দাবি জানান তাঁরা। বিক্ষোভকারীদে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রশাসন দাবি মানছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। শেষপর্যন্ত অবশ্য পুলিশের আশ্বাসে ওঠে অবরোধ। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। স্থানীয়দের কথায়, রামপবাবুর মতো শান্তিপ্রিয় মানুষের কোনও শত্রু থাকতেই পারে না। তবে কেন এমন ঘটনা ? কোন শত্রুতার কারণে নৃশংসভাবে হত্যা করা হল রামপদবাবুকে? এখন এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে তদন্তকারীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.