ছবি: প্রতীকী
টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: ডাক্তারি ডিগ্রি পাওয়ার পরই তরুণীর রহস্যমৃত্যু। বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (Bankura Sammilani Medical College And Hospital) থেকে উদ্ধার হয়েছে দেহ। মনে করা হচ্ছে, পাঁচতলা থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। আত্মহত্যা করেছেন তিনি? নাকি পরিকল্পনামাফিক খুন করা হয়েছে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ।
বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়া ওই তরুণীর নাম অঙ্কিতা মণ্ডল। বিগত পাঁচ বছর ধরে কলেজের হস্টেলে থাকতেন তিনি। কিন্তু আদতে সাঁতরাগাছির বাসিন্দা অঙ্কিতার বাবা-মা মেয়ের কলেজের এলাকাতেই একটি বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন। মাঝেমধ্যেই তাঁদের কাছে গিয়েও থাকতেন ওই তরুণী। জানা গিয়েছে, বুধবার বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে সমাবর্তন অনুষ্ঠান ছিল। এদিনই ডাক্তারি উত্তীর্ণের সংশাপত্র পান অঙ্কিতা। কলেজের সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষ হয় প্রায় রাত ১ টা নাগাদ। সূত্রের খবর, রাত ৩ টে নাগাদ অঙ্কিতার মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসে। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় বাঁকুড়া সদর থানায়। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। কীভাবে মৃত্যু হল অঙ্কিতার? যদি আত্মহত্যা করে থাকেন তিনি সেক্ষেত্রে কারণ কী? সদস্য ডাক্তারি ডিগ্রি পাওয়া অঙ্কিতার বাবা-মায়ের সঙ্গে কোনও অশান্তি চলছিল কী? নাকি প্রণয়ের সম্পর্কের কারণেই এই পরিণতি? তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ব্যক্তিগত জীবনে টানাপোড়েনের পাশাপাশি হস্টেলে অঙ্কিতার কোনও সমস্যা হচ্ছিল কি না, সেবিষয়টিও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বুধবার রাত ১ টা নাগাদ হস্টেলের ঘর থেকে বেরিয়ে ছাদে যান অঙ্কিতা। বেশ কিছুক্ষণ পেরিয়ে গেলেও অঙ্কিতা না ফেরায় সন্দেহে হয় অন্য আবাসিকদের। এরপরই জানা যায় অঙ্কিতার মৃত্যুর বিষয়টি। শোনা যাচ্ছে, ঘটনার সময় কলেজের গেটেই ছিলেন ওই তরুণীর বাবা-মা। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। শীঘ্রই সত্যি প্রকাশ্যে আসবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.