ছবি: প্রতীকী।
শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্ক মেনে নেয়নি পরিবার। সেই অভিমানে আত্মঘাতী প্রেমিক যুগল। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে। বুধবার সকালে কালিয়াগঞ্জের চণ্ডিপুর এলাকায় যুগলের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। ইতিমধ্যেই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
উত্তর দিনাজপুরের পূর্ব গোয়ালগাঁও এলাকার বাসিন্দা সুজন রায়। দীর্ঘদিন ধরেই মামনি রায় নামে এলাকারই এক কিশোরীর সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল পেশায় কাঠমিস্ত্রি ওই যুবকের। কমবেশি গ্রামের সকলেই জানতেন তাঁদের সম্পর্কের কথা। তাঁদের বিয়ে হবে বলেই জানত সকলে। কিন্তু সুজন-মামনির সম্পর্কে কাঁটা হয়ে দাঁড়ান কিশোরীর বাবা রঞ্জিত রায়। একাধিকবার বোঝানো হলেও মেয়ের প্রেমিককে মেনে নিতে রাজি হননি তিনি। এরপর মঙ্গলবার দুপুরে খেলতে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বের হয় মামনি। সারারাতেও বাড়ি ফেরেনি সে। বুধবার বাড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে সুজন-মামনির ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দেহদুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। দেহ উদ্ধারের পরই মামনির বাবার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয়রা।
মেয়ের মৃত্যুর খবরে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন রঞ্জিতবাবু। তাঁর কথায়, “অনেক কষ্ট করে মেয়েকে পড়াশোনা করিয়েছি। মেয়ের ১৮ বছর হয়নি। তাই এখন বিয়ে দিতে রাজি ছিলাম না। একবছর পর বিয়ের কথা বলেছিলাম।” মেয়ের মৃত্যু সংবাদে জ্ঞান হারিয়েছেন মামনির মা। চোখের জল বাঁধ মানছে না সুজনের পরিবারের সদস্যদেরও। মৃতের বাবা বলেন, “আমার বয়স হয়েছে। ছেলেকে কাঠের কাজ ছেলেকে শেখাচ্ছিলাম। বলেছিলাম কয়েক দিন বাদে বিয়ের ব্যবস্থা করব। কিন্তু ও এভাবে আমাদের ছেড়ে চলে যাবে বুঝতে পারিনি।” স্বাভাবিকভাবেই প্রেমিক যুগলের মৃত্যুতে শোকের ছায়া এলাকায়। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.