ছবি: প্রতীকী
বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: বিয়ের ৯ মাসের মধ্যে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল এক দম্পতি। বিছানা থেকে উদ্ধার হয়েছে বধূর দেহ। গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছিলেন স্বামী। ঘটনাটি নদিয়ার (Nadia)শান্তিপুরের। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মৃতার বাপের বাড়ির অভিযোগ, শাশুড়ির কারণেই এই পরিণতি তাঁদের মেয়ের।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই দম্পতির নাম সাবির শেখ (৩৫) ও দিলরুবা ইয়াসমিন(২৬)। শান্তিপুরের কারিগরপাড়ার বাসিন্দা দিলরুবার সঙ্গে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বিয়ে হয় মালঞ্চস্ট্রিট এলাকার সাবিরের। দম্পতির মধ্যে সম্পর্ক বেশ ভালই ছিল। বিয়ের ৪ মাসের মাথায় অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিলেন দিলরুবা। এতেই শুরু অশান্তি। এত অল্প সময়ের মধ্যেই পুত্রবধূর অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার বিষয়টি ভালভাবে নেননি সাবিরের মা। এই নিয়ে প্রায়ই ছেলের সঙ্গে মায়ের অশান্তি করতেন তিনি। সেই অশান্তি চরমে ওঠায় স্ত্রীকে শ্বশুরবাড়িতে রেখে আসেন সাবির। বুধবার স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন ওই যুবক। রাতে খাওয়া দাওয়া সেরে ওখানেই থেকে যান। বৃহ্স্পতিবার বেলা গড়িয়ে গেলেও সাবির ও দিলরুবা ঘর থেকে না বেরনোর সন্দেহ হয় বাড়ির সকলের। ডাকাডাকি করেও সাড়া না মেলায় ঘর ভাঙতেই দেখা যায়, বিছানায় পড়ে দিলরুবার নিথর দেহ। গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছেন সাবির। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। ইতিমধ্যেই দেহদুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে তাঁরা। প্রাথমিকভাবে অনুমান, স্ত্রীকে খুনের পর আত্মঘাতী হয়েছেন ওই যুবক।
কিন্তু কেন এই চরম সিদ্ধান্ত? মৃতার মায়ের কথায়, “বিয়ের চারমাসের মাথায় মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। ওর শাশুড়ি বিষয়টা ভালভাবে মানেননি। তা নিয়ে অশান্তি হতো। হয়তো সেই অশান্তি থেকে মুক্তি পেতেই এই সিদ্ধান্ত।” এই জোড়া মৃত্যুর নেপথ্যে এটাই কি কারণ? নাকি লুকিয়ে অন্য কোনও রহস্য, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.