ধীমান রায়, কাটোয়া: একইসঙ্গে পরিবারের তিন সদস্যের রহস্যমৃত্যু। ঘর থেকে উদ্ধার হল দেহ বাবা-মা ও মেয়ের দেহ। পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া (Katwa) থানার পানুহাট বৈদ্যপাড়ার ঘটেছে ঘটনাটি। অভাবের জেরেই এই চরম সিদ্ধান্ত নাকি নেপথ্যে রয়েছে অন্য রহস্য, তা জানার চেষ্টায় পুলিশ।
পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া থানার পানুহাট বৈদ্যপাড়ার বাসিন্দা নঈম শেখ ও তাঁর স্ত্রী কামরুন বিবি। এই দম্পতির এক মেয়ে ছিল, নাম পিঙ্কি খাতুন। বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন ছিল সে। জানা গিয়েছে, সোমবার সকাল দশটা বেজে গেলেও ওই পরিবারের কারও সাড়াশব্দ পাননি প্রতিবেশী ও আত্মীয় স্বজনরা। ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন তাঁরা। সেই সময় দেখতে পান ঝুলছে নইম শেখ। বিছানায় পড়ে তার মেয়ে পিঙ্কি খাতুন(১৪)। আর গলায় গামছা জড়ানো অবস্থায় মেঝেতে পড়ে রয়েছে নইমের স্ত্রী কামরুন।
প্রাথমিকভাবে অনুমান স্ত্রী ও মেয়েকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন নইম শেখ। পুলিশ সকাল প্রায় এগারোটা নাগাদ দেহ তিনটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কাটোয়ার খাজুরডিহি পঞ্চায়েতের পানুহাট বৈদ্যপাড়ার বাসিন্দা নইম শেখ ছিলেন পেশায় গাড়িচালক। তারা ছয় ভাই। পাশাপাশি পৃথক সংসারে তারা থাকতেন। নইম সবার ছোট।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, নঈমের মেয়ে পিঙ্কি খাতুন মূক ও বধির। নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে। অভাবের সংসারে প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে দুঃচিন্তায় থাকতেন দম্পতি। তার জেরেই কি স্ত্রী ও মেয়েকে মেরে আত্মঘাতী হয়েছেন নইম? নাকি দম্পতি একসঙ্গে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন? এই তিন মৃত্যুর ঘটনায় এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। তবে পুলিশ আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.