প্রতীকী ছবি।
শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: ভ্রাতৃদ্বিতীয়ার সন্ধ্যায় হেমতাবাদে একই পরিবারের তিনসদস্যের রহস্যমৃত্যু। ঘর থেকে উদ্ধার দম্পতি ও তাঁদের দুই বছরের কন্যার মৃতদেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল উত্তেজনা উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের চৈনগর পঞ্চায়েতের মহেশগাঁও সীমান্তের কেশবপুর গ্রামে। দেহ উদ্ধারে গিয়ে গ্রামবাসীদের তীব্র বিক্ষোভের মুখে পুলিশবাহিনী। শেষপর্যন্ত পরিস্থিতি সামাল দিয়ে পর পর তিনটি দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিক্যাল হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করে পুলিশ। ঘটনার সময় বাড়িতে উপস্থিত থাকা একমাত্র সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুরু তদন্ত।
জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম মহম্মদ কুতুবুদ্দিন। তাঁর স্ত্রী পারভিন বেগম। ২ বছরের শিশুকন্যা মাহি। কুতুবুদ্দিন পেশায় কৃষক ছিলেন। তাঁর পাঁচ বোন। স্থানীয় সূত্রে খবর, কুতুবুদ্দিনের বাবার প্রায় ৩০ বিঘা জমি-সহ কয়েক লক্ষ টাকার সম্পত্তি রয়েছে। তা নিয়ে বোনেদের সঙ্গে অশান্তি চলছিল তাঁর। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুমান, ওই সম্পত্তি নিয়ে অশান্তির কারণেই খুন করা হয়েছে কুতুবুদ্দিনকে। জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কুতুবুদ্দিনের বাবাকে।
কিন্তু সত্যিই কি সম্পত্তি সংক্রান্ত অশান্তির বলি একই পরিবারের তিন সদস্য? নাকি অন্য কোনও কারণ লুকিয়ে এর পিছনে? সন্তানকে খুনের পর দম্পতির আত্মহত্যার আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা। হেমতাবাদ থানার আইসি সুজিত লামা বলেন, “স্বামী-স্ত্রী আত্মহত্যার আগে শিশুকে খুনও করে থাকতে পারেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট বলা সম্ভব নয়।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.