Advertisement
Advertisement

Breaking News

Karandighi

স্ত্রী ও সন্তানকে খুনের পর প্রমাণ লোপাটে দেহ পুকুরে! ৪দিন পর পর্দাফাঁস

খুনের অভিযোগে মৃতার স্বামীকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।

Body of 2 people found in Karandighi

প্রতীকী ছবি

Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:March 27, 2025 6:40 pm
  • Updated:March 27, 2025 6:57 pm  

শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: স্ত্রী ও সন্তানকে খুনের অভিযোগ যুবকের বিরুদ্ধে। প্রমাণ লোপাটে দেহ পুকুরে ফেলে চম্পট দিয়েছিল অভিযুক্ত। তাতেও শেষরক্ষা হল না। চারদিন নিখোঁজ থাকার পর জলাধার থেকে মিলল ২ জনের পচাগলা দেহ। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠল উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘির গোঁসাইপুর। কয়েকঘণ্টার ব্যবধানে স্ত্রী ও সন্তানকে খুনের অভিযোগে মৃতার স্বামীকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। এদিকে দেহ দুটি পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিহারের পূর্নিয়া জেলার মহারাজপুর রামনাটোলা গ্রামের বাসিন্দা পূর্ণিদেবী। উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘির সিতমটোলা গ্রামের অভি কর্মকারের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। দম্পতির চারটি সন্তান রয়েছে। বিহারের পূর্ণিয়ার পঞ্চায়েত প্রধান মহম্মদ নৌসাদের অভিযোগ, গত সোমবার দুপুর নাগাদ অভি কর্মকার তাঁর স্ত্রীর নিখোঁজ হওয়ার খবর জানায় শ্বশুরবাড়িতে। স্বাভাবিকভাবেই বধূর বাপের বাড়ির সদস্যরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নেন। কিন্তু লাভ হয়নি। বৃহস্পতিবার গোঁসাইপুরের পুকুর থেকে থেকে উদ্ধার হয় পূর্ণিদেবী ও তাঁর মেয়ে অন্নু কুমারীর দেহ।

Advertisement

এরপরই প্রকাশ্যে আসে বিস্ফোরক অভিযোগ। মৃতার ভাইয়ের স্ত্রী জানান, তাঁর ননদের উপর লাগাতার অত্যাচার করত শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরা। গত কয়েকদিন ধরেই বধূকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। এসবের মাঝেই সোমবার রাতে হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যান বধূ ও তাঁর মেয়ে। বৃহস্পতিবার উদ্ধার হয় জোড়া দেহ। মৃতার বাপের বাড়ির লোকেদের দাবি, স্বামীই খুন করেছে বধূ ও তাঁর মেয়েকে। করণদিঘি থানার আইসি সঞ্জয় ঘোষ বলেন, “পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামীকে গ্রেপ্তার করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
News Hub