প্রতীকী ছবি
অতুলচন্দ্র নাগ, ডোমকল: শৌচাগারের জন্য নির্মীয়মান চেম্বার থেকে দেহ উদ্ধার হওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটে মুর্শিদাবাদের রানিতলার বেগনডিহি গ্রামে। সম্পর্কে টানাপোড়েনের জেরেই এই ‘খুন’ বলে অভিযোগ।
পুলিশ জানায় মৃতের নাম সামসুজ্জামান খান ওরফে মিঠু (৪০)। বাড়ি মুর্শিদাবাদের রানিনগরের বিলচাতরা গ্রামে। জানা গিয়েছে গত নদিন ধরে ওই ব্যক্তি নিখোঁজ ছিলেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বিলচাত্রা গ্রামেই আত্মীয়ার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন মিঠু। প্রথমদিকে সম্পর্কটি গোপন থাকলেও ইদানিং তা প্রকাশ্যে চলে আসে। যা নিয়ে দিন দশেক আগে পাড়ায় সালিশি সভা বসে। সেখানে ঠিক হয়, মিঠু পরিযায়ী শ্রমিকের কাজে কেরলে যান, তাই তাঁকে কিছুদিনের জন্য কেরলে চলে যেতে হবে। ওই কথার পর থেকেই এলাকায় মিঠুকে দেখতে পাওয়া যায়নি। পরিবারের লোকেদের ধারনা ছিল তিনি কেরলে চলে গিয়েছেন। কিন্তু সেদিন থেকে তাঁর সঙ্গে বাড়ির লোকেদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আর তার পরেই এদিন সকালে বেগনডিহি গ্রামের শৌচাগারের চেম্বার থেকে দেহ উদ্ধার হয়। শনাক্ত করা হয় ওটা সামসুজ্জামানের দেহ।
জানা গিয়েছে, যে মহিলার সঙ্গে মিঠুর পরিণয়ের সম্পর্ক ছিল, তাঁর স্বামীর বাড়ি বিলচাতড়া গ্রামে হলেও মায়ের বাড়ি ওই বেগনডিহি গ্রামে। দশদিন আগে সালিশি সভায় তাঁদের বিচ্ছিন্ন থাকার নির্দেশ দিলে ওই মহিলা মায়ের বাড়ি চলে যান। সেখানে পৌঁছে সামসুজ্জামানকে মায়ের বাড়িতে ডেকে নেন। কারণ সেখানে একটি ধর্মীয় সভা ঘিরে উৎসব ছিল। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে সামসুজ্জামান বেগনডিহি যান। কিন্তু তার পর থেকে আর খোঁজ পাওয়া যায়নি।
বেগনডিহির মানুষেরা জানান নির্মিয়মান শৌচাগারের চেম্বারটির জায়গা পরিস্কার ছিল। হঠাৎ করেই কয়েকদিন থেকে নোংরা আবর্জনার স্তুপ হতে থাকে। এমনকী গত তিনদিন ধরে ওই আত্মীয়ার মায়ের বাড়ির সব সদস্য পলাতক। তাতেই তাঁদের সন্দেহ হয়। তাছাড়া ওই চেম্বার থেকে গন্ধও বের হতে শুরু করে। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। তারা এসে চেম্বারের ঢাকনা তুলতেই সব ফাঁস হয়ে যায়। দেখা যায় সেখানে মানুষের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। পুলিশ মৃতদেহ তুলে ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করে ও পলাতক পরিবারের খোঁজে জোর তল্লাশিও শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.