বাবুল হক, মালদহ: মহানন্দায় নৌকোডুবির ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১০। শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকালের মধ্যে আশাপুরের জিয়াগঞ্জে এলাকা থেকে ৩টি, আলাল ও বিহারের জামালপুর থেকে ১টি করে দেহ উদ্ধার হয়েছে। যদিও এখনও মৃতদের পরিচয় জানা যায়নি। এখনও নিখোঁজ বহু।
বৃহস্পতিবার সন্ধেয় ৬০ থেকে ৬৫ জন যাত্রীকে নিয়ে উত্তর মালদহের চাঁচোল থানা থেকে উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারের দিকে যাচ্ছিল নৌকোটি৷ যাত্রাপথে ইটাহারের মুকুন্দপুর, মালদহের চাঁচোলের জগন্নাথ ঘাট ও বিহারের আবাদপুরের ডুমরুল্লা ঘাটের সংযোগস্থলে উলটে যায় নৌকোটি। প্রাণ বাঁচাতে সাঁতরে পাড়ে ওঠেন অনেকে। তড়িঘড়ি উদ্ধারকাজে হাত লাগায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। শুরু হয় উদ্ধারকাজ। রাতেই উদ্ধার হয় মোট তিনজনের দেহ। শুক্রবার সকাল থেকে ফের শুরু হয় উদ্ধারকাজ। নামানো হয় তিনটি স্পিড বোট ও চারটি নৌকো।
এরপর শুক্রবার সকালে উদ্ধার হয় আরও ২টি দেহ। দিনভর তল্লাশির পর মিলেছে আরও পাঁচজনের দেহ। এখনও চলছে উদ্ধার কাজ। নদী ঘাটে স্বজনের অপেক্ষায় পরিবার। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার হাট থাকার কারণে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে নদী পারাপার করছিল নৌকাগুলি৷ যা নিয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করেন অনেক যাত্রী৷ মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে এমনিতেই মালদহের নদীগুলিতে জলস্তর বেড়ে গিয়েছে৷ ফুঁসছে মহানন্দা৷ এই পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে তাঁদের দাবি৷
[আরও পড়ুন: অতিবৃষ্টিতে বঙ্গে আকাল পদ্মের, চাহিদা মেটাতে ওড়িশা থেকে ফুল আমদানি]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.