শনিবার রাতে কালনা ঘাট থেকে শান্তিপুর যাওয়ার পথে নৌকা উল্টে নিখোঁজ বহু যাত্রী৷ উদ্ধারকার্যে প্রশাসনের গাফিলতির অভিযোগ তুলে কালনা ও শান্তিপুর- দুই ঘাটেই যাত্রী বিক্ষোভ আছড়ে পড়ল রবিবার সকাল থেকে৷ নিখোঁজ যাত্রীরা অধিকাংশই শান্তিপুরের বাসিন্দা৷
জানা গিয়েছে, স্থানীয় ভবা পাগলার মেলায় যোগ দিতে গতকাল বহু মানুষ কালনায় আসেন৷ রাতে ঘাট পেরিয়ে শান্তিপুর যাওয়ার জন্য একটি নৌকায় ওঠেন প্রায় ৭০ জন যাত্রী৷ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়ায় সম্ভবত মাঝ গঙ্গায় উল্টে যায় নৌকাটি৷ স্থানীয় মানুষের তৎপরতায় প্রায় ৫০ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও প্রায় ১০-১২ জন যাত্রী এখনও নিখোঁজ৷ ভোরের আলো ফোটার পরেও প্রশাসনের উদ্ধারকাজে কোনও গতি না থাকায় ক্ষোভ বাড়ে জনতার৷ অশান্তির আগুন এসে পৌঁছয় গঙ্গার অপর পাড়েও৷ রণক্ষেত্র হয়ে উঠল শান্তিপুরও৷ দুর্ঘটনার ফলে বন্ধ শান্তিপুর-কালনা ফেরি চলাচল৷
রবিবার সকাল থেকে উদ্ধারকাজ ঠিক মতো শুরু না হওয়ায় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুঁড়তে শুরু করে জনতা৷ ইটের আঘাতে শান্তিপুর থানার এক এসআইয়ের মাথা ফেটে যায়৷ আহত এক কনস্টেবলও৷ শান্তিপুর ঘাটে দাঁড়িয়ে থাকা ছয়টি লঞ্চে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়৷ সব মিলিয়ে শান্তিপুর ফেরিঘাটের পরিস্থিতি চরম উত্তেজনাপূর্ণ৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে ফেরিঘাটে নামানো হয় র্যাফ৷ অভিযোগ, কালনায় উদ্ধারকাজ শুরু হলেও শান্তিপুরে উদ্ধারকাজ শুরু হয়নি৷ উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট ছোঁড়ে পুলিশ৷ ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের শেল৷ উদ্ধারকাজ খতিয়ে দেখতে আজ সকালে কালনা ফেরিঘাটে পৌঁছন রানাঘাটের এসডিপিও ইন্দ্রজিৎ বসু ও নদিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অজয় প্রসাদ৷ যাত্রীদের খোঁজ পেতে গঙ্গায় নামানো হয়েছে ডুবুরি৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.