দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: প্রতিনিয়ত কুপ্রস্তাব দিত আশাকর্মী। লজ্জায় কাউকে কিছুই জানাতে পারতেন না তিনি। অভিযোগ, ওই আশাকর্মী তাঁর থেকে টাকাও দাবি করতেন৷ টাকা না দিতে পারলে প্রাণনাশেরও হুমকি দেওয়া হত৷ কিন্তু আশাকর্মীর চাহিদা মতো টাকার জোগান দিতে পারেননি এটাই ছিল তাঁর ‘অপরাধ’৷ আর তার জেরেই অবশেষে হাসপাতালে চড়াও হয়ে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককে বেধড়ক মারধর করল আশাকর্মী৷ ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা বাসন্তী ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। আক্রান্ত ওই আধিকারিককে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।
সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্বামীকে নিয়ে হাসপাতালে চলে আসেন আশাকর্মী শিপ্রা দাস। সঙ্গে ছিল তার স্বামী শৈলেন্দ্র দাস। অভিযোগ, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের ঘরে ঢুকে পড়ে দুজনেই৷ এরপর জোর করে বাইরে বের করে আনা হয় ওই আধিকারিককে৷ মাটিতে ফেলে দেওয়া হয় আধিকারিককে৷ জুতোপেটা করতে করতে জামাও ছিঁড়ে দেওয়া হয় তাঁর। আচমকা এই মারধরের ঘটনা দেখে হতচকিত হয়ে যান হাসপাতালে উপস্থিত সকলেই৷ আধিকারিককে মারমুখী আশাকর্মীর হাত থেকে রক্ষা করেন তাঁরাই৷ আক্রান্ত আধিকারিককে গুরুতর জখম অবস্থায় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করা হয়। আপাতত ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটেই রয়েছেন তিনি৷ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যায় এসিএমওএইচ ইন্দ্রনীল সরকার। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত আশাকর্মী এবং তার স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত।
এ বিষয়ে আক্রান্ত ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, ‘‘বিভিন্ন সময় আমাকে কুপ্রস্তাব দিচ্ছিল। আশাকর্মী হয়ে বিভিন্ন সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করতেন ওই মহিলা। আমি বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেছি৷ উনি আত্মহত্যার হুমকি দিতেন। টাকাপয়সা চাইতেন। তাঁকে বাধা দেওয়ায় আমাকে এভাবে মারধর করা হয়েছে।’’ তবে এ বিষয়ে আশাকর্মীর পালটা দাবি, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকই তাকে কুপ্রস্তাব দিতেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.