ছবি: মুকলেসুর রহমান।
সৌরভ মাজি, বর্ধমান: নীল রঙের একটি গাড়ি থেকে রাজু ঝাঁকে লক্ষ্য় করে গুলি চলেছিল। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল, শক্তিগড় থেকে আততায়ীরা গাড়ি নিয়ে চম্পট দিয়েছিল কলকাতার দিকে। রাত গড়াতেই সেই ভুল ভাঙে। দেখা যায়, পুলিশের নাকা চেকিং এড়াতে জামালপুর থানার আজাপুর এলাকায় গাড়িটি রেখে চম্পট দিয়েছে আততায়ীরা। মনে করা হচ্ছে, পুলিশের নজর এড়াতে রেলপথেই পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা।
শনিবার সন্ধ্যার কিছু পরে গম গম করছিল শক্তিগড়ের ল্যাংচা হাব। সেখানে একটি বিখ্যাত দোকানের সামনে আচমকা একটা গাড়ি থেকে কয়েকজন নেমে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা সাদা ফরচুনার গাড়ির সামনে আসে। কার্যত ‘পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ’ থেকে পর ছয় থেকে সাতটা গুলির শব্দ। চালকের পাশের সিটে লুটিয়ে পড়েন রাজু। শনিবার সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিট নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। শক্তিগড় থানার পুলিশ এসে গুলিবিদ্ধ ব্যক্তি ও তাঁর সঙ্গীদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার স্পেশ্যালিটি উইং অনাময় হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে রাজুকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
এরপরই শুরু হয় তল্লাশি। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল, পালসিটের রাস্তা ধরে কলকাতায় পালিয়ছেন দুষ্কৃতীরা। পরে দেখা যায়, সেই ধারনা ভুল। জামালপুরের ধারে একটি নীল রঙের গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। সেই গাড়ি শনাক্ত করতে ঘটনাস্থল থেকে রাজুর গাড়ির চালক ও ঝালমুড়ি বিক্রেতা আবু জিয়া শেখকে আজপুরে নিয়ে যায় পুলিশ। তাঁরাই গাড়িটিকে শনাক্ত করে বলে খবর। আপাতত গাড়িটি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, নীল গাড়িটিতে চারজন ছিলেন। পুলিশের নাকা চেকিংয়ে ধরা পড়ে যেতে পারে, এই আশঙ্কায় রুট বদল করে আততায়ীরা। গাড়ি রেখে গণপরিবহণে চম্পট দেয় তারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.