নন্দন দত্ত, বীরভূম: কয়েকদিনের ব্যবধানে বীরভূমের নলহাটি ও মুরারই থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে বিস্ফোরণ ঘটল সিউড়ির সদাইপুরে। সকালে প্রবল বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে সাহাপুর গ্রাম। বিস্ফোরণ ঘটে গ্রামের একটি বাড়িতে। গ্রামবাসীদের দাবি, বিস্ফোরণে বাড়িটি উড়ে গিয়েছে। গুরুতর জখম বাড়ির মালিক। সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভরতি তিনি।
[সকাল থেকে দিঘার সমুদ্রে প্রবল জলোচ্ছ্বাস, মৃত্যু এক পর্যটকের]
রাঢ় বাংলার জেলা বীরভূমে পাথর খাদানের অভাব নেই। খাদানে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পাথর ভাঙা হয়। বিস্ফোরক ব্যবহারের জন্য খাদান মালিককে সরকারের অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু, নিয়মের তোয়াক্কা না করে বীরভূম জুড়েই বিস্ফোরকের চোরা কারবার চলছে বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, গ্রামে নিজেদের বাড়িতেও বিস্ফোরক মজুত রাখে চোরাকারবারীরা। জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে সিউড়ির সদাইপুরের সাহাপুর গ্রামে জামির মোল্লা নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। তিনি খাদানের কর্মী। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, নিজের বাড়িতে ডিনামাইট মজুত করে রেখেছিলেন জামির। বুধবার সকালে নেশার ঘোরে ডিনামাইটের সঙ্গে বিদ্যুতের সংযোগ করে দেন তিনি। এরপরই প্রবল বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে এলাকা। বিস্ফোরণে জামির মোল্লার বাড়িটি উড়ে যায়। তিনি নিজেও গুরুতর জখম হন। তাঁকে ভরতি করা হয়েছে সিউড়ি সদর হাসপাতালে। কিন্তু, খাদানের একজন সাধারণ কর্মী জামিরের বাড়িতে ডিনামাইট এল কী করে? খতিয়ে দেখছে সিউড়ি থানার পুলিশ। এদিকে আবার সিউড়ির সদাইপুর এলাকায় মধ্যেই পড়ে বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। তাই নাশকতার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা।
গত মাসেই বীরভূমের নলহাটিতে বিস্ফোরক পাচার করার সময়ে এক ব্যক্তিকে ধরে ফেলে পুলিশ। উদ্ধার হয় ৫০ হাজার ডেটোনেটর, ১১ হাজার জিলোটিন স্টিক ও অ্যামোনিয়া নাইট্রেড। ঘটনায় আঙুর শেখ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে নলহাটি থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, আঙুর শেখকে জেরা করেই মুরারইয়ে আরও এক বিস্ফোরক চোরাকারবারীর সন্ধান পাওয়া যায়। নলহাটি ও মুরারই থানার পুলিশের যৌথ অভিযানের বাহাদুর গ্রামের কবিরুল শেখের বাড়িতে প্রচুর বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। কবিরুলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
[রেশন পাচারের চেষ্টা, গ্রামবাসীদের তৎপরতায় উদ্ধার আটা ও গম]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.