দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: কালীপুজোর আগেই দুঃসংবাদ। চম্পাহাটির (Champahati) হাড়ালের বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ। পরপর বেশ কয়েকটি দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়ছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের ২টি ইঞ্জিন। যাতে বিপদ বড়সড় আকার না নেয় তাই এলাকা ফাঁকা করা হচ্ছে।
স্থানীয়দের মতে, বুধবার বেলা ১২টা নাগাদ আচমকাই বিস্ফোরণের শব্দ পান। দৌড়ে গিয়ে দেখেন বাজি কারখানাটি পুড়ছে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে চতুর্দিক। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকে। খবর দেওয়া হয় দমকলে। একে একে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ২টি ইঞ্জিন। আপাতত এলাকা খালি করে আগুন নেভানোর কাজ চলছে। তবে এখনও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ঘটনাস্থলেই রয়েছে বারুইপুর থানার পুলিশ আধিকারিকরাও। কিন্তু কীভাবে লাগল আগুন? প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, অগ্নি নির্বাপণ বিধি অমান্য করে অবৈধভাবে বাজি মজুতের ফলে আগুন লেগেছে। উল্লেখ্য, চম্পাহাটিতে অবৈধভাবে বাজি মজুত নতুন কোনও বিষয় নয়। বারবার সে কারণে পুলিশি তল্লাশিও চলে এই এলাকায়। তা সত্ত্বেও এ ধরনের ঘটনায় আতঙ্কিত প্রায় সকলেই।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই কালীপুজোয় বাজি না ফাটানোর আবেদন জানান মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আবেদন করেন, কালীপুজো ও দীপাবলিতে বাজি ফাটাবেন না। বাজি থেকে ছড়ানো দূষণ কোভিডের ক্ষেত্রে অত্যন্ত মারাত্মক। কালীপুজোয় বাজি নিষিদ্ধ করার আরজি জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) দায়ের হওয়া জোড়া জনস্বার্থ মামলার শুনানিও হতে পারে বৃহস্পতিবার। তারই মাঝে চম্পাহাটির বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে স্বাভাবিকভাবেই মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.