ছবি: প্রতীকী
নন্দন দত্ত, সিউড়ি: নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পরেও হিংসা অব্যাহত বীরভূমে। তৃণমূল কর্মীর খামার বাড়িতে বিস্ফোরণে চাঞ্চল্য কাঁকড়তলায়। পাশপাশি, রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত বীরভূমের পাড়ুই, সদাইপুর, খয়রাশোল-সহ একাধিক এলাকা। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অভিযোগের তির বিজেপির বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি ফের যাতে উত্তপ্ত না হয়, সেই কারণে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
ফলপ্রকাশের পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অশান্তির ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। আক্রান্ত হয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীরা। প্রায় আট দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও পালটায়নি পরিস্থিতি। শুক্রবার রাতে ফের বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল বীরভূমের কাঁকড়তলা থানার কদমডাঙা এলাকা। জানা গিয়েছে, এদিন রাতে আবদুর রহমান নামে এলাকার ব্যক্তির খামার বাড়িতে ঘটে বিস্ফোরণ। তীব্রতায় কেঁপে ওঠে এলাকা। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয়দের মধ্যে। সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তি তৃণমূল কর্মী হিসেবেই এলাকায় পরিচিত। অভিযোগ, রাজনৈতিক মতবিরোধের কারণেই ওই ব্যক্তির খামার বাড়িতে বোমা রেখে গিয়েছিল বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। কয়েকদিন আগে কাঁকড়তলা থানার বড়রা গ্রামে তৃণমূল নেতা শেখ আফরোজের বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। পর পর বিস্ফোরণের ঘটনা প্রসঙ্গে খয়রাশোলের তৃণমূল পর্যবেক্ষক বিকাশ রায়চৌধুরি বলেন, “এই বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে বিজেপি জড়িত। ইতিমধ্যেই আমরা পুলিশকে গোটা বিষয়টি জানিয়েছি। তদন্তও শুরু হয়েছে। আরও কোথাও বোমা মজুত করা রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।”
অন্যদিকে, শুক্রবার রাতেই তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বীরভূমের সিউড়ি। দু’দলের সংঘর্ষে ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্রায় ২২টি মাটির বাড়ি। বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, বিজেপি করার প্রতিবাদে হাজরাপুর গ্রামের কর্মীদের বাড়িতে চড়াও হয় তৃণমূল কর্মীরা। মারধরের পাশপাশি ভাঙচুর করা হয় তাঁদের বাড়িতেও। যদিও বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূলের কর্মীরা। তবে ফের যাতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত না হয়, সেই কারণে ওই এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.