রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: বাড়িতেই বাজি কারখানা তৈরি করে কাজ করছিলেন বেশ কয়েকবছর ধরে। সেই জীবিকাই প্রাণ কেড়ে নিল পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরের বাজি কারখানার মালিকের। মৃতের নাম হিমাংশু পাল। পাশাপাশি বিস্ফোরণে জখম হয়েছেন আরও ২ জন। বিস্ফোরণের তীব্রতায় উড়ে গিয়েছে বাড়ির ছাদ।
সামনেই দীপাবলি। প্রচুর চাহিদা আতসবাজির। তাই সোমবার সন্ধেবেলা চড়াবাড় এলাকায় নিজের বাড়ির কারখানায় অন্যান্য শ্রমিকদের সঙ্গে নিজেই বাজি তৈরির কাজে হাত লাগিয়েছিলেন বছর চৌষট্টির মালিক হিমাংশু পাল। আচমকাই ঘরের মধ্যে বিস্ফোরণ ঘটে। তীব্র শব্দে উড়ে যায় ঘরের চালটি। আশেপাশের মানুষজন বিপদ টের পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ঘটনাস্থলে একবারে ঝলসে যান হিমাংশুবাবু। বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন আরও ২ শ্রমিক। সকলকে উদ্ধার করে প্রতিবেশীরা নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে হিমাংশুবাবুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। বাকি দু’জন এখনও চিকিৎসাধীন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ভগবানপুর থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক বছর ধরেই নিজের বাড়িতে এভাবে বাজি কারখানা চালাচ্ছিলেন হিমাংশু পাল। তবে তার কোনও আইনি কাগজপত্র ছিল না। ৫ বছর আগেও এই বাড়িটিতে একবার বিস্ফোরণ ঘটেছিল। কিন্তু সেসময় প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন মালিক। তখনই পুলিশ এটিকে বেআইনি বাজি কারখানা বলে চিহ্নিত করে দেয়। কিন্তু তারপরও লাইসেন্স নেওয়া হয়নি এবং ঝুঁকি নিয়েই বাজি কারখানা চলছিল, তার প্রমাণ মিলল সোমবারের দুর্ঘটনায়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, দীপাবলির আগে চাহিদামোত বাজির জোগান দিতে অতিরিক্ত কাঁচামাল মজুত করেছিলেন হিমাংশু পাল। তার জেরেই এত বড় দুর্ঘটনা ঘটে গেল। জখম দু’জনের শারীরিক পরিস্থিতির খবর মেলেনি এখনও। তাঁরা একটু সুস্থ হলে, পুলিশ তাঁদের জেরা করে গোটা ঘটনার কিনারা করতে চায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.