অরূপ বসাক, মালবাজার: জঙ্গলের একেবারে লাগোয়া চা-বাগান। হাতির উপদ্রব থেকে বাঁচতে ব্লেড লাগানো তার দিয়ে ডুয়ার্সের বাতাবাড়ি চা-বাগান ঘিরে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ঘাসের লোভে বাগানে ঢুকতে গিয়ে ব্লেডের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে হাতির দল। ঘটনায় ক্ষুদ্ধ পশুপ্রেমী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। অবিলম্বে ধারালো ওই তার খুলে দেওয়ার দাবি তুলেছেন তাঁরা।
[দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিট প্রতারণা চক্রের পর্দাফাঁস, গ্রেপ্তার তিন]
পাহাড়-জঙ্গলে ঘেরা সুন্দরী ডুয়ার্স। চা-বাগানগুলির সৌন্দর্য্যও কম নয়। কিন্তু, বেশিরভাগ চা-বাগানে পাশেই জঙ্গল। ফলে রাতবিরেতে হাতির উপদ্রব লেগেই থাকে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, নতুন চা-গাছ বসানোর আগে প্রতিটি বাগানেই গুলাটিমালা নামে একটি বিশেষ ধরনের ঘাস লাগানো হয়। এই ঘাসে প্রচুর পরিমাণে নাইট্রোজেন থাকে। বছর খানেক পর যখন ঘাস শুকিয়ে গিয়ে মাটিতে মিশে যায়, তখন মাটির উর্বরতা বাড়ে। গুলাটিমালা ঘাস আবার হাতির প্রিয় খাদ্য। ফলে চা-বাগানে হাতির উপদ্রবও বেড়ে যায়। মালবাজারে মেটেলি ব্লকের বাতাবাড়ি চা-বাগানের কাছেই খড়িয়াবন্দর বনাঞ্চল। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, জঙ্গলে ঢুকেছে ৩০টি হাতির একটি দল। গুলাটিমালা ঘাসের লোভে প্রতিদিন রাতেই বাতাবাড়ি চা-বাগান হাতি ঢুকছিল। তাই চা-বাগানটিকে ব্লেড লাগানো তার দিয়ে ঘিরে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বাগানের ঘাস খেতে গিয়ে ব্রেডের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে অবলা প্রাণীরা। বনদপ্তর সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতেও বাতাবাড়ি চা-বাগানে ঢুকতে গিয়ে জখম হয় বেশ কয়েকটি হাতি। চা-বাগানের চারপাশে ব্লেডতার লাগানোর ঘটনায় ক্ষুদ্ধ পশুপ্রেমী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় পশুপ্রেমী মানবেন্দ্র দে জানিয়েছেন, এভাবে বন্যপ্রাণীদের করিডরে তার দিয়ে বেড়া দেওয়া আইনত নিষিদ্ধ। বাতাবাড়ি চা-বাগান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে বনদপ্তরকে। এদিকে চা-বাগানের ম্যানেজারের বক্তব্য, এমন কোনও নিষেধাজ্ঞার কথা তিনি জানেন না। বনদপ্তর যদি নির্দেশ দেয়, তাহলে ব্লেড লাগানো তার খুলে ফেলা হবে।
[ পলাশিপাড়ায় শুটআউট, পরকীয়া সন্দেহে বন্ধুকে লক্ষ্য করে গুলি যুবকের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.