সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেমের সম্পর্কে শারীরিক ঘনিষ্ঠতা খুবই স্বাভাবিক। বিয়ের আগেও হামেশাই শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়ে থাকেন প্রেমিক-প্রেমিকারা। ভালবাসার সেই সম্পর্কই কাল হল! চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করলেন এক যুবক। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার হৃদয়পুরে। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, ওই যুবককে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ার আপলোডের হুমকি দিতেন তাঁর প্রেমিকা। টাকা আদায়ের জন্য রীতিমতো ব্ল্যাকমেল করা হত। মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরেই আত্মহত্যা করেছেন তরুণ।
[তারাপীঠ থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনার কবলে পূণ্যার্থীদের বাস, জখম ২০]
মৃতের নাম সৌরভ ঘোষ। তাঁর বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে। কলেজস্ট্রিটে একটি বইয়ের দোকানে কাজ করতেন সৌরভ। ওই যুবকের পাড়ায় মামার বাড়ি পূজা দাসের। পরিবারের লোকের দাবি, মাঝেমধ্যেই সোনারপুরে মামার বাড়িতে আসতেন পূজা। সেই সূত্রেই সৌরভের সঙ্গে তাঁর পরিচয়, প্রেম ও ঘনিষ্ঠতা। বাড়ির লোকের অভিযোগ, নানা অছিলায় সৌরভের কাছ থেকে টাকা নিতেন পূজা। প্রেমিকার চাহিদা মেটাতে গিয়ে কার্যত সর্বশান্ত হতে বসেছিলেন তিনি। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছিল, যে পূজার সঙ্গে সম্পর্কে ইতি টানার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সৌরভ। এই নিয়ে দু’জনের মধ্যে অশান্তি চলছিল। দু’জনের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করার হুমকি দিতেন পূজা। প্রেমিককে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, পাঁচ লক্ষ টাকা না দিলে, ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশের দ্বারস্থ হবেন। এমনকী, দলবদল নিয়ে ওই তরুণী সৌরভদের বাড়িতে চড়াও হন বলে অভিযোগ।
মানসিক চাপ আর নিতে পারছিলেন না সৌরভ ঘোষ। উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে এক বন্ধুর বাড়িতে চলে যান তিনি। কিন্তু রেহাই মেলেনি। গত ১৩ জুলাই হৃদয়পুর স্টেশনে চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন ওই তরুণ। ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে বারাসত হাসপাতালে ভরতি করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে স্থানান্তরিত করা হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। তবে বাঁচানো যায়নি। বুধবার সকালে মারা যান সৌরভ ঘোষ। তাঁর প্রেমিকা পূজা দাস-সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের বাড়ির লোকেরা।
ছবি: বিশ্বজিৎ নস্কর
[ খাতায় কলমে ‘বিবাহিত’, কন্যাশ্রীর টাকা না পেয়ে বিপাকে কলেজ ছাত্রী]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.