স্টাফ রিপোর্টার, শিলিগুড়ি: ভরা পর্যটন মরশুমে কার্শিয়াংয়ে কালো চিতার (Black Cheetah) আতঙ্ক। ডাউহিল এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, ওই শ্বাপদকে মাঝে মধ্যে রাস্তা পারাপার করতে দেখা যাচ্ছে। সেটি ক্যামেরাবন্দি করা সম্ভব না হলেও বনকর্তারা সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না। তাই ঘটনার কথা জানাজানি হতে বন দপ্তরের তরফে দার্জিলিং পাহাড়ের বিভিন্ন প্রান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে কালোচিতার আনাগোনার খবর ছড়াতে স্থানীয় বাসিন্দা তো বটেই, পর্যটক (Tourists) মহলেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বন দপ্তরের কার্শিয়াংয়ের এডিএফও দীপেন তামাং বলেন, ‘‘ডাউহিল এলাকার কিছু বাসিন্দা জানিয়েছেন কালোচিতা দেখেছেন। এখনও বন কর্মীদের নজরে আসেনি। তবে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েই দেখা হচ্ছে। কারণ, এই এলাকায় কালোচিতা আছে।’’
২৪ এপ্রিল দার্জিলিংয়ের চিত্রা বাজারের কাছে রাস্তা পারাপার করতে দেখা গিয়েছে মেলানিস্টিক রঙের চিতা বাঘকে। সেটি ক্যামেরাবন্দি করেন এক গাড়ি চালক। সোশাল মিডিয়ায় ওই ভিডিও ভাইরাল হতে হইচই শুরু হয়। ২০২২ সালে মানেভঞ্জন এলাকায় কালো চিতার দেহ উদ্ধার হয়। বন দপ্তরের দাবি ছিল, এলাকা দখলের সময় সংঘর্ষে মৃত্যু হয় শ্বাপদটির।
[আরও পড়ুন: ]
উল্লেখ্য, কালিম্পংয়ের নেওড়াভ্যালি জঙ্গলে হামেশাই দেখা মেলে কুচকুচে কালো রংয়ের বিরল প্রাণীটির। ২০২০ সালে মিরিকের ওকাইতি চা বাগান সংলগ্ন ৯ নম্বর ডিভিশনের কাছে রাস্তা পারাপার করার সময় কালো চিতা দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ওই বছরই মিরিকে একই ধরনের শ্বাপদ দেখা যায়। বন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে এবং জয়ন্তী এলাকায় কালো চিতা দেখা গিয়েছে।
তবে সম্প্রতি ডাউহিল এলাকায় যে কালোচিতার দেখা মিলেছে, সেটি প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। একই সময় কালিম্পংয়ের বাগোরা এবং দিলারাম এলাকাতেও দেখা গিয়েছে। সেটি ডাউহিলের কালো চিতাটি কিনা এখনও স্পষ্ট নয়। বনকর্তারা জানান, প্রাণীটি দ্রুতগামী। হঠাৎ কয়েক সেকেন্ডের জন্য রাস্তা পারাপারের সময় দেখা যায়। সেটাও রাতে।
বিবরণ শুনে বনকর্তাদের মনে হয়েছে চিতাটি পূর্ণবয়স্ক। সম্ভবত শিকারের খোঁজে লোকালয়ের আশপাশে ঘোরাঘুরি করছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, অনেকেরই মুরগি, ছাগল উধাও হয়েছে। কার্শিয়াংয়ের এডিএফও অবশ্য আশ্বস্ত করে জানান, শিকার পেয়ে গেলে ওরা হামলা চালায় না। কিন্তু বিকেলের পর একা বাইরে যাতায়াত বন্ধ হয়েছে। হোম-স্টে গুলো থেকে পর্যটকদের বিকেলের পর বাইরে যেতে মানা করা হচ্ছে। রাজ্য ইকো ট্যুরিজম বিভাগের চেয়ারম্যান রাজ বসু বলেন, ‘‘পাহাড়ে কালোচিতা নতুন কিছু নয়। আতঙ্কের কিছু নেই।”
[আরও পড়ুন: ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.