বোলপুরের জনসভায় সায়ন্তন বসু ও নিজের বাড়িতে অনুব্রত মণ্ডল।
ভাস্কর মুখোপাধ্যায় ও নন্দন দত্ত: বিজেপির রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজায় সরগরম বীরভূম। ‘তারাপীঠে বিজেপির রথ রুখলে তার পরিণাম হবে ভয়ঙ্কর’, মহিলা মোর্চার সভানেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের পর এবার শাসকদলকে হুমকি দিলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। বোলপুরের রেল ময়দানের জনসভায় অনুব্রত মণ্ডলকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘তারাপীঠে অমিত শাহের রথযাত্রার সময়ে ‘উন্নয়ন’ দাঁড়িয়ে থাকলে উন্নয়নকে কবর দিয়ে এগিয়ে যাবে রথ।’
[ রথযাত্রা হবেই, নিরাপত্তার দায়িত্ব রাজ্যের ঘাড়ে চাপালেন মুকুল]
লোকসভা ভোটে এ রাজ্যে দলের সংগঠনকে চাঙ্গা করতে রথযাত্রার কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি। ডিসেম্বর মাসের ৫, ৭ ও ৯ তারিখে তিনটি রথটি বের করবেন গেরুয়াশিবিরের কর্মী-সমর্থকরা। ৫ ডিসেম্বর বীরভূমের তারাপীঠ থেকে রথযাত্রার সূচনা হবে। ৭ ডিসেম্বর উত্তরবঙ্গ থেকে রওনা হবে দ্বিতীয় রথটি। তৃতীয় রথটি গঙ্গাসাগর থেকে কলকাতায় আসবে। বিজেপি সূত্রে খবর, এক একদিনে তিনটি করে বিধানসভা এলাকায় ঘুরবে রথ। রাজ্যে রথযাত্রা কর্মসূচি চলবে কমপক্ষে ৪৫ দিন। এরপর জানুয়ারি শেষে ব্রিগেডে বিজেপি-র জনসভা। কিন্তু, বীরভূমে রথযাত্রা কর্মসূচি নিয়ে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর হুঁশিয়ারি, তারাপীঠেই বিজেপি-র রথের সামনে উন্নয়নকে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হবে।
তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে পালটা দিলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুও। তাঁর হুমকি, বীরভূমে উন্নয়নকে কবর দিয়ে এগিয়ে যাবে রথ। দিন কয়েক আগে মালদহে রথযাত্রা নিয়ে বিজেপি-র মহিলা মোর্চার সভানেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। রথ আটকালে বিরোধীদের পিষে মারার হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। শুধু লকেট চট্টোপাধ্যায় কিংবা সায়ন্তন বসুই নন, রথযাত্রা ইস্যুতে শাসকদলকে আক্রমণ করতে গিয়ে সৌজন্যের সীমা ছাড়িয়েছেন খোদ বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষও। শাসকদলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে প্রকাশ্যে ‘কুকুর’ বলেছেন তিনি।
[ হায় কপাল! বিধায়কের মায়ের শ্রাদ্ধের কার্ডও জাল]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.