সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে বিস্ফোরক বিজেপি সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। ‘বিতাড়িত হিন্দুদের জন্যই পশ্চিমবঙ্গ’, এমনটাই দাবি করেন প্রাক্তন অভিনেত্রী।
Politically incorrect…Partition was done so Pak becomes Muslim nation; Bangladesh mainly for Muslims,Bengal part of India as it was for Hindus who returned from Bangladesh: R Ganguly on ‘your views on Citizenship Bill…that ‘Hindus are refugees, Muslims infiltrators’? (21.08) pic.twitter.com/Dqw1NJEVWA
— ANI (@ANI) August 22, 2018
হিন্দুরা শরণার্থী হলে মুসলমানদের অনুপ্রবেশকারীর তকমা কেন? এমন প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় রূপাকে। তিনি জবাব দেন, দেশভাগ হয় ধর্মের ভিত্তিতে। মুসলমানদের জন্য পাকিস্তান গড়া হয়। বাংলাদেশও মুসলিম প্রধান দেশ। সেক্ষেত্রে ওই দুই দেশ থেকে স্বাভাবিকভাবেই নির্যাতিত হিন্দুরা ভারতে আসবেন। বিজেপি নেত্রী আরও বলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল শুধমাত্র হিন্দুদের জন্য প্রযোজ্য নয়। পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশে নির্যাতিত শিখ, বৌদ্ধ ও ক্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষরাও এই বিলের আওতায় রয়েছেন। তাঁদের কথা মাথায় রেখেই এই পদক্ষেপ কেন্দ্রের।
Only Hindus aren’t refugees, Buddhists, Jains are refugees too who came from different parts of the world to India: Roopa Ganguly, BJP when asked ‘what are your views on Citizenship Bill…that ‘Hindus are refugees, Muslims are infiltrators’? (21.08.2018) pic.twitter.com/FniyRHjb61
— ANI (@ANI) August 22, 2018
উল্লেখ্য, নির্যাতিত হিন্দুদের স্বাভাবিক আশ্রয়স্থল ভারত। এমনটাই দাবি করে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আনে মোদি সরকার। যা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়। বিরোধীদের চাপেই রাজ্যসভায় পাশ করানো যায় নি বিলটি। ধর্মের ভিত্তিতে শরণার্থী মর্যাদা দেওয়া নিয়ে সরব হয় বিরোধী দলগুলি। বিশেষ করে প্রতিবাদ শুরু হয় অসমে। নাগরিকপঞ্জি মেনেই বাংলাদেশিদের তাড়াতে হবে, এই দাবিতে রাজ্যে সরব হয় একাধিক ছাত্র ও রাজনৈতিক সংগঠন। হিন্দুই হোক বা মুসলমান, ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চের পর আসা সকল বাংলাদেশীকে অসম ত্যাগ করতে হবে। উঠেছে এমন দাবি। ফলে কার্যত দোটানায় মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোওয়ালের সরকার। অসমের বাংলাভাষীদের মধ্যে অধিকাংশই বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত। ফলে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের পক্ষেই তাঁরা। এদিকে ভূমিপুত্ররা এর বিপক্ষে।
নাগরিকপঞ্জি নিয়ে গোড়া থেকেই সরব হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি এনআরসি-র নামে ‘বাঙালি খেদাও’ শুরু হয়েছে অসমে। পালটা বিজেপির অভিযোগ, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশাকারীদের সমর্থনে কথা বলেছেন তিনি। এমনটা অভিযোগ করেছেন খোদ বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। ক্ষমতায় এলে বাংলায় এনআরসি করার ইঙ্গিত দিয়েছে গেরুয়া শিবির। সব মিলিয়ে স্পর্শকাতর বিষয়টি নিয়ে রাজনতিক ফায়দা লুঠতে মাঠে নেমে পড়েছে সব দলই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.