Advertisement
Advertisement
বিজেপি

খড়গপুরে গেরুয়া শিবিরে তুমুল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, মনোনয়ন জমা দিলেন ৩ বিজেপি নেতা

গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে গুরুত্ব দিতে নারাজ দিলীপ ঘোষ।

BJP's internal strife in the open, three vie for nomination

ফাইল ছবি

Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:November 7, 2019 3:05 pm
  • Updated:November 7, 2019 3:05 pm  

অংশুপ্রতিম পাল, খড়গপুর: শিয়রে উপনির্বাচন। তার আগে খড়গপুরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার বিজেপি। খোদ রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের গড়েই অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। খড়গপুর উপনির্বাচনে পদ্মশিবিরের কাঁটা বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা। যিনি সাংসদের বিরুদ্ধে রীতিমতো যুদ্ধ ঘোষণা করে নির্দল প্রার্থী হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছেন। অন্যদিকে, গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো বিজেপির চিন্তা বাড়িয়েছে ঘোষিত প্রার্থী প্রেমচাঁদ ঝায়ের বিরুদ্ধে একাধিক আইনি মামলা। বাধ্য হয়ে জেলা সভাপতি সমিত দাসকেও প্রার্থী করেছে বিজেপি। প্রেমচাঁদের জেলযাত্রা হলে সেক্ষেত্রে সমিত দাসই হবেন গেরুয়া শিবিরের বাজি।

উপনির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা হতেই নির্দল প্রার্থী হিসাবে খড়গপুরে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা প্রদীপ পট্টনায়েক। তাতেই শোরগোল পড়েছে রেলশহরে। প্রকট হয়েছে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘দলটাকে একার হাতে শেষ করছেন দিলীপ ঘোষ। জঘন্য লোক উনি। নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহর উচিত ওনাকে দল থেকে দূর করে দেওয়া।’ ‘বিজেপি বাঁচাও কমিটি’র ব্যানারে তিনি যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন রাজ্য সভাপতির বিরুদ্ধে। এদিকে দিলীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ প্রেমচাঁদকে প্রার্থী করার পরে ক্ষোভ বেড়েছে দলের মধ্যে। প্রেমচাঁদের বিরুদ্ধে তিন কোটি টাকার একটি জমি কেলেঙ্কারির মামলা রয়েছে। অভিযোগকারী সুকান্ত বেরাকে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ভয় দেখানোর অভিযোগে অস্ত্র আইনে আরও একটি মামলা ঝুলছে প্রেমচাঁদের উপর। কলকাতা হাই কোর্ট থেকে আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত রক্ষাকবচ পেয়েছেন বিজেপি নেতা। তার আগে তাঁকে কোনও মামলায় গ্রেপ্তার করা যাবে না।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বিজেপির ডাকা বনধ ব্যর্থ করতে বনগাঁয় পথে নামল তৃণমূল, সচল যানবাহন]

কিন্তু চিন্তার বিষয়, ১৩ তারিখের পরে কী হবে? বিজেপি নেতাকে যদি গ্রেপ্তার করা হয় সেক্ষেত্রে দলের নির্দেশে জেলা সভাপতি সমিত দাসও মনোনয়ন দাখিল করেছেন। সুতরাং এই মূহূর্তে খড়গপুরে গেরুয়া শিবিরের তিন নেতা প্রার্থী হয়েছেন। এ নিয়ে তৃণমূল-কংগ্রেস উভয় শিবিরই কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না বিজেপিকে। অস্বস্তি বাড়িয়েছেন বিক্ষুব্ধ নেতা প্রদীপ পট্টনায়েকও। তিনি ভেবেছিলেন তাঁকেই হয়তো প্রার্থী করবে দল। কিন্তু তাঁর বদলে রাজ্য সভাপতি ঘনিষ্ঠ প্রেমচাঁদকে প্রার্থী করায় নির্দল হিসাবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন প্রদীপ পট্টনায়েক। যদিও এসবকে গুরুত্ব দিতে নারাজ দিলীপ ঘোষ। বঙ্গ বিজেপির সভাপতির দাবি, ‘খড়গপুরে ভোটে লড়ছে দিলীপ ঘোষ এবং দলের সংগঠনের নেতারা। কে কী বলল, কে মনোনয়ন জমা দিল তাতে কিছু এসে যায় না। দিলীপ ঘোষকে দেখেই মানুষ বিজেপি প্রার্থীকেই ভোটে জেতাবে।’

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement