রাজা দাস, বালুরঘাট: “একটা ছোট্টো ধাক্কায় দিয়েছি। তাতেই আট জন ডিএম, পাঁচ জন এসপি ও তিন জন মন্ত্রী পালটে গেল। পালটে গেল মন্ত্রীদের দপ্তরও। সবে তো ইয়ে পেহেলি ঝাঁকি হ্যায়। আভি পুরা ফ্লিম বাকি হ্যায়। ২০১৯ সালে দেখবেন অর্ধেক সরকারই পালটে গেছে। আর ২০২১ সালে পুরো সরকার পালটে যাবে।”- শুক্রবার বালুরঘাট সত্যজিৎ মঞ্চে বিজেপির কর্মীসভায় যোগ দিতে এসে রাজ্য সরকারকে এভাবেই কটাক্ষ করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
[ বাড়ির কেউ ধর্ষিতা হলে কী করতেন? পুলিশকে ধমক জাতীয় মহিলা কমিশনের ]
তিনি আরও বলেন, আগামী ১১ তারিখ তিনি পুরুলিয়া যাবেন। তাঁকে কে আটকাবেন, দেখবেন তিনি। দিলীপ ঘোষ ছাড়াও এদিনের কর্মিসভায় হাজির ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকার, জেলা পর্যবেক্ষক সঞ্জীব মিশ্র, সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার, মানস সরকার, বিজেপি নেত্রী মাফুজা খাতুন-সহ জেলার অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্ব।
[ ডালু-মৌসমদের জন্য বিজেপির দরজা খোলা, দিলীপের মন্তব্যে নতুন জল্পনা ]
এদিনের কর্মিসভায় হাজির ছিলেন প্রায় হাজার খানেক কর্মী সমর্থক। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর এই প্রথম দক্ষিণ দিনাজপুরে এলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বিভিন্ন বুথ থেকে মণ্ডল কমিটির সভাপতি ও কর্মীদের নিয়ে এদিনের সভা হয়েছিল। সভা শুরুর আগে, এদিন সকালে দিলীপবাবু বালুরঘাট চরপাড়া এলাকার আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন। কথা বলার পাশাপাশি সেখানে চা খান তিনি। এরপর সত্যজিৎ মঞ্চে জেলা বিজেপি নেতৃত্বদের সঙ্গে সভা করেন। আগামী লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে দলকে শক্তিশালী করার প্রক্রিয়া ও রণকৌশল সাজাচ্ছে বিজেপি। বলেন দিলীপ ঘোষ।
সম্প্রতি আরএসএসের সভায় গিয়েছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। এনিয়ে দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করা হয়। উত্তরে তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ডাক্তারজি নিজে কংগ্রেসী ছিলেন। প্রণববাবুও কংগ্রেসের। আদর্শগত মতভেদ থাকতেই পারে। গান্ধীজি এসেছিলেন সংঘ শিক্ষা শিবিরে। এই রকম প্রচুর জ্ঞানীগুণী মানুষ এসেছেন এবং সংঘ সম্বন্ধে তাদের মন্তব্য বলেছেন। প্রণববাবু আরএসএসকে ভাল চেনেন। তাই তিনি যা বলেছেন ভেবেই বলেছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.