Advertisement
Advertisement
দিলীপ

মানসের অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব দিয়ে ভোট প্রচারে কৌশলী দিলীপ

বুথভিত্তিক প্রচারই হাতিয়ার রাজ্য বিজেপি সভাপতির৷

BJP's Dilip Ghosh gears up to take on Manas Bhunia
Published by: Tanujit Das
  • Posted:March 22, 2019 6:00 pm
  • Updated:March 22, 2019 6:16 pm  

অংশুপ্রতিম পাল, খড়গপুর: একাধারে তিনি বিধায়ক, পাশাপাশি দলের রাজ্য সভাপতি৷ তাঁর কাঁধে ভর করে বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করেছে বিজেপি৷ লড়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন৷ এবার এহেন দিলীপ ঘোষের উপরই মেদিনীপুরের ভোট বৈতরণী পাড় করার দায়িত্ব দিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব৷ দিলীপ বাবুও ভাল করেই জানেন কাজটা সহজ নয়৷ কারণ তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ  মানস ভুঁইয়া৷ কিন্তু তাও লড়াইয়ের ময়দানে অভিজ্ঞ প্রতিপক্ষকে এক চিলতে জমি ছাড়তে নারাজ রাজ্য বিজেপি সভাপতি৷ মানস ভুঁইয়াকে খোঁচা দিয়ে তাঁর স্পষ্ট বার্তা, ‘‘আমার স্বীকার করতে অসুবিধা নেই, উনি রাজনীতিতে আমার চেয়ে অভিজ্ঞ৷ উনি একাধিক দলের হয়, একাধিকবার নির্বাচন লড়েছেন৷ এটা ওনার অ্যাডভান্টেজ না ডিস-অ্যাডভান্টেজ৷’’

[দোলপূর্ণিমায় ভরা কোটাল, অস্থায়ী বাঁধ ভেঙে প্লাবিত সুন্দরবন সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকা]

Advertisement

দীর্ঘদিন ধরেই মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হিসাবে দিলীপবাবুর নাম নিয়ে চর্চা চলছিল রাজনৈতিক মহলে৷ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রথম প্রার্থীতালিকা ঘোষণার সময় খড়গপুরে দলীয় কার্যালয়েই উপস্থিত ছিলেন দিলীপ ঘোষ৷ তাঁর নাম ঘোষণা হওয়ার পরেই প্রাথমিক প্রচারপর্ব শুরু করে দেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি৷ প্রথমেই যান ঝুলি এলাকার একটি শিব মন্দিরে৷ সেখান থেকে ঠাকুরের আশীর্বাদ নিয়ে সোজা চলে যান খড়গপুরের প্রেমহরি ভবনে৷ দোল উপলক্ষ্যে সেখানে যে অনুষ্ঠান চলছিল, তাতে অংশগ্রহণ করেন তিনি৷ জনসংযোগ করেন৷ সরাসরি রাজনীতির কথা মুখে আনেননি দিলীপ ঘোষ৷ মানুষের আশীর্বাদ চেয়ে নিয়েছেন৷ জানিয়েছেন, দেশের ভাল করার জন্য সবার সহযোগিতা ও আশীর্বাদ চান তিনি৷

[দুর্গাপুরে গণধর্ষণের শিকার নাবালিকা, গ্রেপ্তার ৪ ]

এরপর শুক্রবার সকাল থেকেই মূল প্রচারে নামেন দিলীপ ঘোষ৷ প্রথমেই নিজ বিধানসভা কেন্দ্র খড়গপুরের ছটি ওয়ার্ডের মানুষের সঙ্গে কথা বলেন৷ তাঁদের অভাব-অভিযোগ শোনেন৷ বিশেষ করে নজর দেন ২৭ ওয়ার্ডের অন্তর্গত রামনগর এলাকার রেল বসতিতে৷ সেখানেই, মেদিনীপুরের বিদায়ী সাংসদ অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়ের বিরুদ্ধে, তাঁর কাছে ক্ষোভ উগরে দেন ওই এলাকার মানুষজন৷ সাংসদের বিরুদ্ধে তাঁদের সবচেয়ে বড় অভিযোগ, গত পাঁচ বছরে একবারও সন্ধ্যা রায়ের নাগাল না পাওয়া৷ তাঁরা জানিয়েছেন, অভাব-অভিযোগ শুনতে একবারের জন্যও সাংসদ সেখানে আসেননি৷ তাঁদের আলো-জল-মাথার ছাদের সমস্যা মেটাননি৷ তাঁদের অভিযোগ শুনে এলাকার মানুষকে দিলীপ ঘোষ আশ্বস্ত করেন৷ জানান, ‘‘আমি বিধায়ক৷ সাংসদ নই৷ আমার কিছু করার ইচ্ছা থাকলেও করতে পারিনি৷ এবার আপনাদের আশির্বাদে সাংসদ হতে পারলে, নিশ্চয়ই সমস্যার সমাধান করব৷ সংসদে এই বিষয়গুলি উত্থাপণ করব৷’’ রাজ্য বিজেপি সভাপতি জানান, ‘‘প্রথম দিনের প্রচারেই মানুষের ভাল সাড়া মিলেছে৷ ধীরে ধীরে সাতটা বিধানসভা এলাকার মানুষের কাছেই যাব৷’’ এদিন স্থানীয় বেশ কয়েকটি হোলির অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন দিলীপ ঘোষ৷ কর্মীদের সঙ্গে দেওয়াল লিখনেও হাত লাগান এবং প্রচার করেন৷ 

ছবি: সৈকত পাঁজা

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement