ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: গেরুয়া ঝড়ে ত্রিপুরায় পর্যুদস্ত বামেরা। ২৫ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে উত্তর-পূর্ব এই রাজ্যে ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। এবার কী তবে বাংলার পালা? এই প্রশ্নেই এখন সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। যদিও ত্রিপুরায় বিজেপির জয়কে একেবারেই আমল দিতে নারাজ তৃণমূল। গেরুয়া শিবিরকে পালটা কটাক্ষও করেছেন স্বয়ং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভায় অন্য মেজাজে পাওয়া গেল বিজেপির রাজ্য সভাপতি ও খড়গপুরের বিধায়ক দিলীপ ঘোষকে। বিরোধী দলের বিধায়কদের লজেন্স বিলি করলেন তিনি। দিলীপের সরস উক্তি, ছোট রাজ্যে জিতেছেন। তাই লজেন্স খাওয়ালেন। বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় এলে একেবারে মালপোয়া খাওয়াবেন।
[রাহুল আমার কথা শুনলে ত্রিপুরায় অন্য ফল হত: মমতা]
ত্রিপুরা জয়ের আনন্দে রবিবার শহরে বিজয় মিছিল বের করেছিলেন এ রাজ্যের বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। সেই আনন্দের রেশ এবার পৌঁছে গেল বিধানসভাতেও। তবে রাজনৈতিক তরজা বা বাগযুদ্ধ নয়, বরং অন্য দলের বিধায়কের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি খড়গপুরের বিধায়কও বটে। সোমবার লজেন্স ভরতি একটি জার নিয়ে বিধানসভার অলিন্দে ঘুরতে দেখা যায় দিলীপবাবুকে। সিপিএম বা বাম বিধায়কদেরই শুধু নয়, কংগ্রেস ও তৃণমূল বিধায়কদের লজেন্স বিলি করলেন তিনি। হাসিমুখেই বিজেপি সভাপতির দেওয়া লজেন্স খেলেন সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী, তৃণমূলের সব্যসাচী দত্ত, রচপাল সিংরা। তবে দিলীপ ঘোষের কাছ থেকে লজেন্স নিতে অস্বীকার করেন বিরোধী দলনেতা ও কংগ্রেস বিধায়ক আব্দুল মান্নান। বিজেপি সভাপতির ধারেকাছে ছিলেন না তৃণমূলের বিধায়ক সোনালি গুহও। পরে সাংবাদিকদের দিলীপ ঘোষ বলেন, ত্রিপুরার মতো ছোট রাজ্যে ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। তাই বিরোধী দলের বিধায়কদের লজেন্স খাইয়েছেন। বাংলায় যেদিন বিজেপি ক্ষমতায় আসবেন, সেদিন মালপোয়া খাওয়াবেন। তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বিজেপি সভাপতির নয়া স্লোগান, ‘এবার বাংলা, পারলে সামলা।’
[ত্রিপুরায় গেরুয়া ঝড়ে উল্লসিত দিলীপ, বাম-বিজেপি আঁতাঁতের অভিযোগ পার্থর]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.