ফাইল ছবি
বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: বগুলার পর ফুলিয়া। ফের জনবহুল মেলার মধ্যে দুই বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এবার ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুর থানার ফুলিয়ার পাওয়ার লুমের মাঠে। বেধড়ক মারধর করার পর রক্তাক্ত অবস্থায় দুই বিজেপি কর্মীকে ফেলে রেখে দুষ্কৃতীরা চম্পট দেয়। গুরুতর জখম অবস্থায় তাদের প্রথমে ফুলিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বর্তমানে তাঁরা ওই হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত ওই দুই বিজেপিকর্মীর নাম প্রদীপ বসাক ও রাজু বসাক। তাঁদের বাড়ি ফুলিয়াতেই। প্রদীপ বসাক বেলঘড়িয়া-এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৪৩ নম্বর বুথের বিজেপির সভাপতি। রাজু বসাকও একজন সক্রিয় বিজেপি কর্মী। ফুলিয়ার পাওয়ার লুমের মাঠে তিনদিন ধরে চলছিল বাউল মেলা। মেলা দেখতে ভিড় করেছিলেন অনেক মানুষই। শুক্রবার রাতে সঙ্গী রাজু বসাককে নিয়ে মেলা দেখতে গিয়েছিলেন প্রদীপ বসাক। তাঁদের অভিযোগ, ‘তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা মেলার মধ্যেই তাদেরকে বেধড়ক মারধর করে। বন্দুকের বাঁট দিয়ে মারা হয়। গলা টিপে ধরে খুন করার চেষ্টা করা হয়।’ মারধরের জেরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন ওই দুই বিজেপি কর্মী। এরপর খবর পেয়ে দুলাল বসাক-সহ অন্য বিজেপি কর্মীরা তাঁদের উদ্ধার করে ফুলিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাদের রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, ফুলিয়ার ওই পাওয়ার লুমের মাঠে সন্ধ্যে হলে বিভিন্ন অসামাজিক কাজকর্ম হয়ে থাকে। বসে মদ্যপানের আসর। দুলাল বসাক নামে ওই এলাকার এক বিজেপি কর্মী তার প্রতিবাদ করেছিলেন। সেই কারণে দুলাল বসাকের প্রতি ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। দুলালের সঙ্গেই থাকেন প্রদীপ বসাক ও রাজু বসাকরা। বৃহস্পতিবার রাতে দুলালকে না পেয়ে আক্রোশবশত প্রদীপ ও রাজুকে বেধড়ক মারধর করে তৃণমূল আশ্রিত দুস্কৃতিকারীরা। শুক্রবার আক্রান্ত দুই বিজেপি কর্মীকে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন বিজেপির নদিয়া দক্ষিণ জেলার সাংগঠনিক সভাপতি মানবেন্দ্রনাথ রায়। তিনি অভিযোগ করে বলেছেন, ‘তৃণমূলের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে। তাই এখন গুন্ডাদের কাজে লাগিয়ে পুলিশের সহযোগিতায় বিজেপি কর্মীদের উপর আক্রমণ করা হচ্ছে। এর আগে বগুলাতে আমাদের একজন বিজেপি নেতাকে মারধর করে খুনের চেষ্টা করেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এবার ফুলিয়াতে আমাদের দুই সক্রিয় কর্মীকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। আমরা দোষীদের কঠোর শাস্তি চাই। তা নাহলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামা হবে।’
যদিও ফুলিয়ার স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য চন্দন সরকার ওই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ‘ওই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কেউ জড়িত নয়। বিজেপির লোকজন তৃণমূলের নামে মিথ্যা অভিযোগ আনছে।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.