বিক্রম রায়, কোচবিহার: নেতাই হোন কিংবা সাধারণ কর্মী, লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পর থেকে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ হিড়িক পড়ে গিয়েছে। কিন্তু যাঁরা দলে আসছেন, তাঁদের সকলকেই যে গেরুয়া শিবিরের কর্মীরা মেনে নিচ্ছেন, এমনটা কিন্তু নয়। মঙ্গলবার কোচবিহারে খোদ পঞ্চায়েত প্রধান-সহ ছ’জন তৃণমূল নেতাকে দলে নেওয়ার প্রতিবাদে জেলা কার্যালয়ে বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপি কর্মীদেরই একাংশ।
এবারের লোকসভা ভোটে কোচবিহার আসনটি তৃণমূলের থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে বিজেপি। দলবদলে বাজিমাত করেছেন একদা তৃণমূল কংগ্রেসের যুবনেতা নিশীথ প্রামাণিক। আর ভোটের ফলপ্রকাশের পর থেকে এখন জেলায় অনেকেই যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে। জানা গিয়েছে, সোমবার দিনহাটার তৃণমূল পরিচালিত মাতালহাট পঞ্চায়েতের প্রধান-সহ ছ’জন যোগ দেন গেরুয়া শিবিরে। কিন্তু দলে তাঁদের অন্তর্ভুক্তি মেনে নিতে পারছেন না এলাকায় পুরনো বিজেপি কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসে থাকাকালীন এলাকায় রীতিমতো সন্ত্রাস চালাতেন মাতালহাট পঞ্চায়েতের প্রধান। অথচ ভোট মিটতেই তাঁকে অনৈতিকভাবে বিজেপিতে যোগদান করিয়েছেন দলের জেলা সভানেত্রী মালতি রাভা ও সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক।
মাতালহাট পঞ্চায়েতের প্রধান-সহ ৬ জন তৃণমূল নেতার সদস্য বাতিলের দাবিতে মঙ্গলবার দিনহাটায় মিছিল করেন বিজেপি কর্মীদেরই একাংশ। পরে কোচবিহার শহরে বিজেপির জেলা পার্টি অফিসে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। বিজেপির কোচবিহার জেলা সভানেত্রী মালভী রাভার বক্তব্য, এটা দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মেটানো হবে। দিন কয়েক আগে দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন লাভপুরের তৃণমূল বিধায়ক মনিরুল ইসলাম, তখনই তাঁকে মেনে নিতে অস্বীকার করেছিলেন দলেরই একাংশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন অনেকেই। পরিস্থিতি এমনই জায়গায় পৌঁছায় যে শেষপর্যন্ত বিজেপি থেকে পদত্যাগের ইচ্ছাপ্রকাশ করেন মনিরুল ইসলাম।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.