নিজস্ব সংবাদদাতা, বনগাঁ: এক সময়ে যে ঠাকুরবাড়িতে শাসকদলের একচ্ছত্র অধিকার ছিল৷ এবারের লোকসভা নির্বাচনে সেই বাড়িতেই ফাটল ধরিয়েছে গেরুয়া শিবির৷ বনগাঁ লোকসভা আসনটি তৃণমূলের থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে বিজেপি৷ মমতাবালা ঠাকুরকে পরাজিত করে সেখানে জয় পেয়েছেন ওই বাড়িরই আর এক সদস্য শান্তনু ঠাকুর৷ কিন্তু শুরুটা ভাল হলেও, কয়েক দিন যেতে না যেতেই এবার সেই ঠাকুরনগরেই প্রকট হয়েছে বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল৷ ‘‘টাকা খেয়ে শাসকদলের মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীদের দলে ঢোকাচ্ছে গাইঘাটার বিজেপির মণ্ডল সভাপতি৷’’ এই অভিযোগে শনিবার নিখিল বিশ্বাসের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করল বিজেপিরই একাংশের নেতা-কর্মীরা৷
[ আরও পড়ুন: পুরুলিয়ায় ফের ‘মাও’ আতঙ্ক, বিজেপি নেত্রীর বাড়ির অদূরে মিলল পোস্টার]
জানা গিয়েছে, শনিবার ঠাকুরনগর স্টেশন সংলগ্ন পার্টি অফিসে নিখিল বিশ্বাসের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান ওই বিজেপি কর্মীরা৷ পার্টি অফিসে বেশ কিছুক্ষণ গাইঘাটার বিজেপির মণ্ডল সভাপতিকে আটকে রাখেন তাঁরা৷ দেন বিরুদ্ধে স্লোগান৷ সভাপতির অপসারণের দাবিতে সরব হতে দেখা যায় তাঁদের৷ কর্মীদের অভিযোগ, লোকসভা নির্বাচনে ভাল ফলাফলের পর বর্তমানে ওই অঞ্চলে তৃণমূল ভাঙতে শুরু করেছে৷ সেই কারণে শাসকদলের দাগী নেতা-কর্মীরা এখন বিজেপিতে যোগ দিতে চাইছেন৷ তাই টাকার বিনিময়ে তারা এখন গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে চাইছেন৷ এবং সেই টাকা খেয়ে শাসকদলের ওই দাগী কর্মীদের দলে টানছেন এই অভিযুক্ত মণ্ডল সভাপতি নিখিল বিশ্বাস৷
[ আরও পড়ুন: বিধায়ক উদয়ন গুহর গাড়ি ভাঙচুর, অভিযোগের তির বিজেপির দিকে ]
জানা গিয়েছে, দীর্ঘক্ষণ নিখিল বিশ্বাসকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা৷ এরপর ঘেরাও মুক্ত হন তিনি৷ এবং সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন৷ নিখিল বিশ্বাসের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা৷ কোনও ধরনের দুর্নীতির সঙ্গে তাঁর যোগ নেই৷ সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন৷ তিনি জানান, এই যোগদানের বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বর তত্ত্বাবধানে হচ্ছে৷ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যারা বিক্ষোভ দেখিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে রাজ্য নেতৃত্বর কাছে অভিযোগ জানাবেন৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.