ছবি: প্রতীকী
নন্দন দত্ত, সিউড়ি: বিজেপি নেতার মাঠে কেটে রাখা ধানে আগুন ধরাল দুষ্কৃতীরা। আচমকা ক্ষতিতে মাথায় হাত বীরভূমের ময়ূরেশ্বর এক নম্বর ব্লকের বিজেপির বুথ সভাপতির। গেরুয়া শিবিরের দাবি আগুন ধরানোর নেপথ্যে রয়েছে তৃণমূল। তারা পরিকল্পিতভাবে এই আগুন দিয়েছে। যদিও তৃণমূল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পালটা এই ঘটনাকে বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল বলেই দাবি করা হয়েছে।
বীরভূমের মল্লারপুর থানার বাজিতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শুভেন্দু মজুমদারের জমিতে আগুন ধরিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। শুভেন্দু মজুমদারের ছেলে পরিতোষ মজুমদার এক নম্বর বুথের বিজেপি সভাপতি। গত কয়েকদিন ধরে দশ কাঠা জমির ধান কেটে জড়ো করে রেখেছিলেন তিনি। প্রায় ৬ কুইন্টাল ধান ওই জমিতে উৎপন্ন হয়। যার বাজার মূল্য আনুমানিক কুড়ি হাজার টাকা। শুভেন্দু মজুমদারের অভিযোগ, তাঁর ছেলে বিজেপি করায় মাঠে জড়ো করে রাখা ধানে আগুন দিয়েছে তৃণমূলের লোকেরা। বিজেপি সভাপতি পরিতোষ মজুমদারের দাবি, এই এলাকায় দিন দিন সংগঠন বাড়ছে বিজেপির। ফলে ভয় পাচ্ছে তৃণমূল। এলাকায় বিজেপি করলেই তাদের যেনতেন প্রকারে হেনস্তা করছে শাসক দল।
এলাকার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অতনু চট্টোপাধ্যায় জানান, সম্পত্তি নষ্ট, বাড়িতে গিয়ে হুমকি, পুলিশে মিথ্যা অভিযোগ, কর্মীদের জেল খাটানো-সহ একাধিক অভিযোগে বিজেপিকে আটকানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল। তিনি অভিযোগ করেন, এই কাজে তৃণমূলের সঙ্গে হাত লাগিয়েছে পুলিশও। গেরুয়া শিবিরের হুঁশিয়ারি, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করা না হলে দলীয় নেতাকর্মীরা আন্দোলনে শামিল হবেন। গদাধরপুর বাজার এলাকা অবরোধেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিজেপি।
তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি অভিজিৎ রানা সিংহ অবশ্য ধানে আগুন লাগানোর কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “এটা তৃণমূলের সংস্কৃতি নয়। বিজেপি নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনার সত্য উদঘাটন করুক।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.