নিজস্ব সংবাদদাতা, খড়গপুর: তৃণমূল কর্মীকে মারধরের অভিযোগে বড় ছেলে গ্রেপ্তার হয়ে এখন জেলে। এখানেই শেষ নয়। সেই মারধরের পালটা বাড়িতে চড়াও হয়ে সেই ধৃত বিজেপি কর্মীর মাকে মারধরের পাশাপাশি জোর করে প্রস্রাব খাওয়ানোর অভিযোগ উঠল কয়েকজন মহিলা তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। নাম জড়িয়ে গেল এক সিভিক ভলান্টিয়ারেরও। মঙ্গলবার দাঁতন থানায় এই অভিযোগ দায়ের হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। অসুস্থ বৃদ্ধা বর্তমানে দাঁতন এক নম্বর ব্লক হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আঙ্গুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বাঁশকোনি গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার বিকেলে। এই নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়েছে৷ যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল। আঙ্গুয়া অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি সুশান্ত ঘোষ বলেছেন, “তৃণমূলের বদনাম করার জন্য এইসব রটানো হচ্ছে। এরকম কোনও ঘটনাই ঘটেনি।” পুলিশ জানিয়েছে অভিযোগ দায়ের হয়েছে৷ ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷
জখম বৃদ্ধা কোকিলা ঘোড়াইয়ের অভিযোগ, “রবিবার বিকালে তৃণমূলের কিছু মহিলা কর্মী আমার বাড়িতে চড়াও হয়৷ আমাকে ঘর থেকে বের করে মারধর করা হয়৷ আমার বউমাকে শরীরিক নির্যাতন করা হয়৷ আমি বাধা দেওয়ার চেষ্টা করি৷ তখন আমাকে কয়েকজন জোর করে প্রস্রাব পান করতে বাধ্য করে৷ আর গোটা ঘটনার ভিডিও করে দাঁতন থানায় কর্মরত এক সিভিক ভলান্টিয়ার।”
বৃদ্ধা মিথ্যা বলছেন, এই অভিযোগ করে আঙ্গুয়া অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি সুশান্ত ঘোষ বলেন, “বিধায়ক বিক্রম প্রধান এখন কলকাতায় রয়েছেন৷ তাঁর স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে এলাকায় কোনও রকম অশান্তি না করার৷” অপরদিকে বিজেপি দাঁতন দক্ষিণ মণ্ডলের নেতা মোসেফ মল্লিক বলেছেন, “খড়গপুরে নির্বাচনে জেতার পরে তৃণমূলে গোটা দাঁতন এলাকা জুড়ে অশান্তি শুরু করেছে৷ এই ঘটনা শুধু দাঁতনের লজ্জা নয়৷ গোটা বাংলার লজ্জা।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.