বাবুল হক, মালদহ: ভোটের মুখে হিংসার শিকার মালদা হরিশ্চন্দ্রপুরের যুবক। নাম পাতানু মণ্ডল। মৃত ব্যক্তি এলাকার এক বিজেপি কর্মীর সম্পর্কে ভাই। তাই নির্বাচনের প্রাক্কালে তাঁর মৃত্যুতে লেগেছে রাজনীতির ছোঁয়া। তবে পুলিশের বক্তব্য, রাজনৈতিক হিংসার কারণে মৃত্যু হয়নি পাতানুর। জমি নিয়ে বিবাদের জেরেই তাঁকে খুন করে দুষ্কৃতীরা।
ঘটনাটি ধরে বুধবার রাতে। হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার সক্রিয় বিজেপি কর্মী হিসেবে পাতানুর ভাই উত্তম মণ্ডলের খ্যাতি রয়েছে। সেই হিসেবে পাতানুও এলাকায় পরিচিত মুখ ছিলেন। বুধবার রাতে বাড়িতেই ছিলেন পাতানু। আচমকাই তাঁর বাড়িতে ঢুকে পড়ে সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা। ঘরে ঢুকেই পাতানুকে গানপয়েন্টে রেখে গুলি চালায় তারা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় পাতানুর। চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।
[ আরও পড়ুন: জানেন, কোন লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ সবচেয়ে বেশি? ]
ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ। পাতানুর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে তারা। শুরু হয়েছে তদন্তও। প্রাথমিত তজন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরেই খুন হতে হয়েছে পাতানুকে। এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক অভিসন্ধি নেই। এমনকী মৃতের স্ত্রীও স্বামীর মৃত্যুর জন্য কোনও রাজনৈতিক দলকে দায়ী করেনি। কোনও অভিযোগও জানাননি তিনি।
কিন্তু এলাকার বিজেপি নেতৃত্ব পুলিশের এই দাবি মানতে নারাজ। বিজেপি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অজয় গঙ্গোপাধ্যায় ঘটনায় জন্য সরাসরি অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। তাঁর অভিযোগ, ভোটের মরশুমে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরাই খুন করেছেন বিজেপি কর্মীর ভাই পাতানুকে। কিন্তু তৃণমূলের তরফে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়েছে। হরিশ্চন্দ্রপুরের প্রাক্তন বিধায়ক ও তৃণমূল নেতা তাজমুল হোসেন জানিয়েছেন, অকারণেই তাঁদের দোষ দিচ্ছে বিজেপি। এটি সম্পূর্ণ তাঁদের অন্তর্কলহের ফল।
এদিকে দোষীদের শাস্তির দাবিতে অবরোধ শুরু করেছেন এলাকার বিজেপি কর্মীরা। অবরোধ এখনও চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা করছে পুলিশ। ঘটনায় দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, ভোটের মুখে ভয় পেয়েছে তৃণমূল। তাই বিজেপি কর্মীদের খুন করছে তারা।
[ আরও পড়ুন: আরএসএসের ঘনিষ্ঠ কেন পর্যবেক্ষক, কমিশনকে চিঠি তৃণমূলের ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.