জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: বিজেপি কর্মীদের মারধর ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের কর্মী- সমর্থকদের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁ পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের খাসপাড়া এলাকায়। অভিযোগ, আক্রমণের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিতি ছিলেন বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান শংকর আঢ্য। যদিও বিজেপির অভিযোগ ভিত্তিহীন, দাবি শংকর আঢ্যের। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই একটি কল নিয়ে অশান্তি চলছিল উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে। শনিবার রাতে সেই অশান্তির জেরে বচসায় জড়িয়ে পড়ে দুই দল। অভিযোগ, সেই সময় আচমকাই সেখানে থাকা বিজেপি কর্মীদের উপর চড়াও হয় তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। বেধড়ক মারধর করা হয় বিজেপি কর্মীদের। রেহাই পাননি মহিলা কর্মীরাও। অভিযোগ, মারধরের পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় বিজেপি কর্মীদের। প্রায় দু ঘণ্টা চলে তাণ্ডব। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম হন প্রলয় মণ্ডল নামে এক যুবক। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হল কলকাতার একটি হাসপাতালে। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন ওই যুবক। আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন।
বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, হামলার ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান শংকর আঢ্যর সামনে। যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি শংকর আঢ্যের। পাশাপাশি, এই হামলার ঘটনায় তৃণমূলের কোনও যোগ নেই বলেও দাবি তাঁর। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি জানিয়ে রবিবার সকালে অভিযোগ দায়ের করতে গিয়ে সমস্যার মুখে পড়তে হয় আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের। প্রথমে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে পুলিশ। যদিও চাপে পড়ে অভিযোগ নিতে বাধ্য হন পুলিশ কর্মীরা। সূত্রের খবর, এফআইআরে নাম রয়েছে চেয়ারম্যান শংকর আঢ্যের। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তদন্ত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.